Ma Anand Sheela : প্রিয়াঙ্কাকে আইনি নোটিশ, কে এই মা আনন্দ শীলা?
Ma Anand Sheela : প্রিয়াঙ্কাকে আইনি নোটিশ, কে এই মা আনন্দ শীলা? |
প্রিয়াঙ্কাকে আইনি নোটিশ, কে এই মা আনন্দ শীলা?
বলিউড প্রতিবেদক: ‘সম্ভোগ থেকেই মুক্তি লাভ’- এই বাণী দিয়েই ৭০’র দশকে সারা বিশ্ব হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ভারতের জব্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক শ্রী চন্দ্রমোহন জৈন ওরফে রজনীশ ওরফে ওশো। নিজেই নিজেকে দাবি করতে ‘স্পিরিচুয়াল প্লে বয়’। বিশ্বাস করতেন মুক্ত যৌনাচারে। সেসময় আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে পরিচিত পান তিনি।
ওশোর ভক্ত তখন অগণিত। হলিউড ও বলিউডের অনেক তারকাই ছিলেন তার অন্ধভক্ত। তাদের একজন ছিলেন বিনোদ খান্না। যিনি কিনা ক্যারিয়ারের মধ্য গগনে খ্যাতির চূড়ায় থাকা অবস্থায় সবকিছু ছেড়েছুঁড়ে চলে গিয়েছিলেন ওশোর আশ্রমে। সেই আধ্যাত্মিক গুরু ওশোই জড়িয়ে পড়েছিলেন একাধিক বিতর্কে। যে বিতর্কে ভাগীদার হয়েছিলেন ওশো রজনীশের একান্ত সচিবের দায়িত্বে থাকা শীলা আনন্দ আম্বালাল প্যাটেল নামের একজন স্মার্ট ও লাস্যময়ী নারী। জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও আমেরিকা ও সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব রয়েছে তার। ওশোর সচিব হওয়ায় সবাই তাকে মা বলে সম্বোধন করতেন।
ভারতে বিতর্কের মুখে পড়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমান রজনীশ। সেখানেও তার আশ্রমের দায়িত্বে ছিলেন শীলা। একসময় এই শীলার নেতৃত্বেই রজনীশের ভক্তরা আমেরিকার ওরেগান প্রদেশে সালাদ বার ও রেস্তোরাঁগুলোতে বিষ মেশানোর ঘটনায় (বায়োটেরর অ্যাটাক) জড়িয়ে পড়ে। যে ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ৭৫০জন।
১৯৮৪ সালে বায়োটেরর অ্যাটাকে দোষী প্রমাণিত হন শীলা। যেটা মার্কিন ইতিহাসে অন্যতম বড় আক্রমণ ছিল। এতে জেল হয় তার। পরবর্তীকালে ভারতে ফিরে আসেন রজনীশ। এরপর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে রজনীশের অনেক কুকর্মের অজানা তথ্য ফাঁস করে দেন শীলা।
তার জীবনকাহিনি নিয়ে ‘সার্চিং ফর শীলা’ নামে ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছে আমাজন প্রাইম। যা পরিচালনা করছেন ব্যারি লেভিনসন। শুরুতে শোনা গিয়েছিলো এই সিরিজে শীলা চরিত্রে দেখা যাবে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে। কিন্তু এতে আপত্তি জানিয়েছেন শীলা। গণমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, তার চরিত্রে প্রিয়াঙ্কাকে পছন্দ করছেন না। বরং এ চরিত্রে আলিয়া ভাটকে দেখতে চান শীলা। কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, অল্প বয়সে আলিয়াকে দেখতে নাকি অনেকটা তার মতোই ছিল।
নিজের আপত্তির কথা জানিয়ে প্রিয়াঙ্কাকে একটি ইমেল পাঠিয়েছিলেন তিনি। আর এই ধরনের ইমেলকে নাকি আইনি নোটিশ হিসেবেই গণ্য করা হয় সুইজারল্যান্ডে। এমনটাই জানিয়েছেন মা আনন্দ শীলা।
হাঙ্গামা/তনুশ্রী