Toma Mirza : রাজ-পরীর রক্তারক্তি নিয়ে মুখ খুললেন তমা মির্জা

Toma Mirza : রাজ-পরীর রক্তারক্তি নিয়ে মুখ খুললেন তমা মির্জা
Toma Mirza : রাজ-পরীর রক্তারক্তি নিয়ে মুখ খুললেন তমা মির্জা


রাজ-পরীর রক্তারক্তি নিয়ে মুখ খুললেন তমা মির্জা


ঢালিউড প্রতিবেদক: সম্প্রতি মান অভিমান ভুলে এক হয়েছিলেন তারকা দম্পতি শরিফুল রাজ ও পরীমণি। কিন্তু তার একদিন পরই তথা শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাতে খবর আসে, গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাজ। জানা যায়, তার মাথা ফেটে গেছে। কিন্তু কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে মুখ খোলেননি অভিনেতা। অপরদিকে পরীমণিও ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। সেসময় তিনি কারণ হিসেবে ‘প্রচন্ড জ্বর’র কথা বলেন।

এরপর সামনে আসে, হাত কেটে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পরী। সেলাই না লাগলেও ক্ষত স্থানে ড্রেসিং করাতে হয়েছে তাকে। আবার রাজ ও পরীর এমন রক্তারক্তির নেপথ্যে রয়েছে তাদের মারামারির ঘটনা। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নির্মাতা রায়হান রাফীর অফিসে ঝগড়া হয় তাদের। একসময় তা ভয়ানক মারামারিতে রূপ নেয়। এতে রক্তাক্ত হন রাজ-পরী। অন্যদিকে তাদের এই ঝগড়া থামাতে গিয়ে আহত হন তমা মির্জা। হাসপাতালে ভর্তি হন রাজ-পরীমণি, সঙ্গে তমাও! যদিও তথ্যটির নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি রাজ-পরীর কাছ থেকে। তবে এ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন তমা।

ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে গণমাধ্যমকে তমা জানান, ‘প্রথম কথা হচ্ছে কেউ কারও হাতে মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কি চেক ইন দেয়? আমি কিন্তু হাসপাতালে ঢুকেই সেটা দিয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমি সেই মেয়ে, যে স্বামীর হাতের মার খেয়ে ঘর ছেড়েছি। সেটার প্রকাশ্য প্রতিবাদ করার জন্য যা যা করা দরকার করেছি। তো সেই মেয়েটিকে অন্য কারও জামাই এসে মেরে চলে যাবে, আর আমি চুপচাপ হাসপাতালে শুয়ে কাঁদবো- সেটা তো কল্পনাই করতে পারি না। ফলে আমার বক্তব্য স্পষ্ট, রাজ-পরীর মারামারির যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সেটার আশেপাশেও আমি ছিলাম না। ইভেন ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজ-পরীর বাসা থেকে বেরিয়ে আমাকে ফোনও করেছে দেখা করার জন্য। আমি বলেছি, আমার জ্বর। আজ দেখা হবে না। এরপর পরী বললো, ‘ওকে বাসায় রেস্ট নাও। কাল দেখতে আসবো। এরমধ্যে কী হলো, আমি আর জানি না।’

কিন্তু ১৮ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা নাগাদ তমার হাত ধরে পরীমণি একই হাসপাতালে চেকইন দিয়েছেন। সেটিতে কি সন্দেহের যোগসূত্র প্রমাণ করে না? এমন প্রশ্নের জবাবে তমা বলেন, ‘বলছি সেটাও। তো ১৮ আগস্ট সন্ধ্যার পর জ্বরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমি ১০টার দিকে হাসপাতালে যাই। ভর্তি হই। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সবাই জানেন, আমার অ্যাজমাটিক প্রবলেম রয়েছে। কিডনিতেও সমস্যা রয়েছে। ফলে শরীরে যাই হোক, তখন এগুলো জেগে ওঠে। তো হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমি ওষুধ খেয়ে তো অচেতন অবস্থা। হঠাৎ আম্মু ডেকে ওঠালো, বললো পরী এসেছে। উঠে দেখি পরী হুইল চেয়ারে। সঙ্গে রাজ্য-চয়নিকা বৌদি, নাচের দুটো ছেলেসহ বেশ কজন আমার কেবিনে। পরী বললো, ওর জ্বর এসেছে। তাই চলে এসেছে। এরপর কাশতে কাশতে গল্প করলাম, সেটাই শেষ।’

রাজ-পরীর ‘রক্তারক্তি’র প্রসঙ্গে তমা বলেন, ‘প্রথমত পরী আমাকে এ বিষয়ে কিছুই শেয়ার করেনি। হতে পারে আমার শরীর খুবই খারাপ, তাই। হতে পারে, বলার মতো কিছুই ঘটেনি। তবে আমি পরীকে যতটুকু এখন দেখছি, সে তার রাজ্য ছাড়া পৃথিবীর আর কিছুর সঙ্গে নেই। না শুটিং, না মডেলিং, না আড্ডা। তার পুরো দুনিটাই এখন রাজ্য। ওর সুখটাই পরীর সুখ। ফলে পরীর মিলন বলেন আর বিরহ বলেন, তার সবটাই রাজ্যকে ঘিরে আবর্তিত। আমার মনে হয়, পরী বরাবরই চেয়েছে তার রাজ্য যেন ব্রোকেন ফ্যামিলি বিলং না করে। তার ছেলেটা যেন বাবার আদর থেকে বঞ্চিত না হয়। সে জন্য পরী সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। তারই প্রতিচ্ছবি আমরা দেখতে পেলাম ১৬ আগস্ট গানবাংলার অফিসে। কিন্তু সেটাও ওয়ার্ক করলো না সম্ভবত। এখানে আমি পরীর কোনও দায় দেখছি না। নিশ্চয়ই এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে ১৮ আগস্ট রাতে, যেটা পরী প্রত্যাশা করেনি।’

হাঙ্গামা/সানাজানা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url