Shabnam : পাকিস্তানে রাষ্ট্রিয় পুরস্কার পাচ্ছেন শবনম

Shabnam : পাকিস্তানে রাষ্ট্রিয় পুরস্কার পাচ্ছেন শবনম
Shabnam : পাকিস্তানে রাষ্ট্রিয় পুরস্কার পাচ্ছেন শবনম


পাকিস্তানে রাষ্ট্রিয় পুরস্কার পাচ্ছেন শবনম


বিশেষ প্রতিবেদক: কিংবদন্তি অভিনেত্রী শবনম তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কাজ করেছেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সিনেমায়। অভিনয়ের দক্ষতা দিয়ে অর্জন করেছেন অসংখ্য সম্মাননা ও পুরস্কার। পাকিস্তানের সিনেমায় তার অবদান এতোটাই যে, সেখানে ‘মহানায়িকা’ও বলা হয় তাকে।

এবার দেশটি এই অভিনেত্রীকে তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার সিতারা-ই-ইমতিয়াজ প্রদান করতে যাচ্ছে। যা পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতি সেবার জন্য দেওয়া হয়। শবনমকে পাকিস্তানের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে অসামান্য অবদানের জন্য এই সম্মানসূচক পুরস্কার দেওয়া হবে। আগামী বছর ২৩ মার্চ এই পুরস্কার প্রধান করা হবে বলে জানা গেছে।

শবনম শৈশবেই বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে নাচ শেখেন। এরপর একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে তিনি সুপরিচিতি লাভ করেন। তিনি চলচ্চিত্রে যুক্ত হয়েছিলেন ১৯৫৮ সালে। ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ সিনেমার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন শবনম। এরপরের বছর উর্দু সিনেমা ‘চান্দা’য় অভিনয় করে পাকিস্তানে তারকাখ্যাতি পান তিনি।

শবনম দীর্ঘ সময় অভিনয় করেছেন পাকিস্তানের সিনেমায়। পাশাপাশি এ অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন পাঞ্জাবি চলচ্চিত্রেও। পাকিস্তানের সিনেমায় তার অবদান এতোটাই যে তিনি দেশটির চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার নিগার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১৩ বার।

ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে শবনম পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। সেখানে আশির দশকের শেষ পর্যন্ত একচ্ছত্র বিস্তার করেছিলেন তিনি। হয়তো বিশ্বে তিনিই একমাত্র অভিনেত্রী যিনি ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ এর দশক পর্যন্ত তিন দশক ধারাবাহিকভাবে একটি ইন্ড্রাস্টিতে সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছিলেন। এ সময়কালে পাকিস্তানে শবনম-ওয়াহিদ মুরাদ, শবনম-নাদিম জুটি জনপ্রিয় ছিল। 

১৯৮৮ সালে পুনরায় ঢাকার চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন শবনম। আর নব্বইয়ের দশক থেকে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বসবাস শুরু করেন। সবশেষ তাকে নায়ক মান্না অভিনীত ‘আম্মাজান’ চলচ্চিত্রে দেখা গেছে। এরপর তাকে আর চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি।

হাঙ্গামা/তিন্নি
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url