Sujata : জমিসহ বাড়ি পেলেন অভিনেত্রী সুজাতা

Sujata : জমিসহ বাড়ি পেলেন অভিনেত্রী সুজাতা
Sujata : জমিসহ বাড়ি পেলেন অভিনেত্রী সুজাতা

জমিসহ বাড়ি পেলেন অভিনেত্রী সুজাতা


ঢালিউড প্রতিবেদক: কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুজাতা আজিমের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। ওয়ারী মৌজায় দখলমুক্ত হওয়া তিন কাঠা জমিসহ একটি দোতলা বাড়ি (অর্পিত সম্পত্তি) তাকে শর্ত সাপেক্ষে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে জমিসহ একটি বাড়ির চাবি সুজাতাকে বুঝিয়ে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শিবলী সাদিক, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সুজাতার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, বনশ্রীর একটি ভাড়া বাসায় আর্থিক অসচ্ছলতার সঙ্গে দিনযাপন করছিলেন অভিনেত্রী সুজাতা। কয়েকমাস আগে ঢাকা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে আবাসনের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতে তাঁর আবাসনের জন্য একটি উপযুক্ত বাড়ি খুঁজে বের করার নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। তার নির্দেশনার আলোকে ওয়ারীর লালচান মকিম লেনের (বাসা নং ৪৩, ৪৩/২, ৪৩/৩) উক্ত সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার করে ঢাকা জেলা প্রশাসক। এরপর নিয়মিত লিজ ফি পরিশোধের শর্তে তাকে বাড়িটি হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় সুজাতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

বাড়ির চাবি হস্তান্তরকালে ঢাকার জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান বলেন, ‘গুণী ব্যক্তি যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল, তাদের আবাসনের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসন কাজ করছে। অন্যান্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও জনকল্যাণমুখী সংগঠনসমূহের জন্য উদ্ধারকৃত খাস জমি বা অর্পিত সম্পত্তি পরবর্তীতে বরাদ্দ দেওয়া হবে।’

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘দুই-এক মাস আগে উনি (সুজাতা) আমার অফিসে এসেছিলেন। বললেন, আমি ভাড়া বাড়িতে থাকি। বাসাভাড়া অনেক বেশি। পরিশোধ করতে পারি না। এখন আয়-রোজগারও নেই। আপনি যদি আমার জন্য একটা আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারেন, এই বয়সে একটু নির্ঝঞ্ঝাট থাকতে পারতাম। আমার সন্তানও উপার্জন করতে পারে না। আমিই একমাত্র উপার্জনকারী মানুষ, আজিম সাহেবও মারা গেছেন।’ তিনি (সুজাতা) বয়সের ভারে এখন চলাচলে অক্ষম। সবকিছু শোনার পর আমরা কথা দিয়েছিলাম যে তাঁর জন্য আবাসনের একটা ব্যবস্থা করব।’

ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সুজাতাকে দেওয়া দোতলা এই বাড়ির একটা ফ্লোর চাইলে তিনি ভাড়াও দিতে পারবেন। নিচতলায় একটা দোকানও আছে, সেটাও ভাড়া দিতে পারবেন। পুরো বাড়িটির জন্য সুজাতাকে বাৎসরিক এক লাখ টাকার মতো লিজ মানি পরিশোধ করতে হবে। যত দিন পর্যন্ত লিজ মানি নবায়ন করবেন, তত দিন সেখানে থাকতে পারবেন তিনি ও তার পরিবার।

উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রূপবান’ চলচ্চিত্রে মাত্র বারো বছর বয়সী নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পান সুজাতা। তখন তার নাম ছিল তন্দ্রা মজুমদার। পরিচালক সালাহউদ্দিন এই তন্দ্রা মজুমদারের নাম রাখেন সুজাতা। আজও যিনি ‘রূপবান’ হয়েই আছেন দর্শকের হৃদয়ে। তবে চলচ্চিত্র তার অভিষেক ঘটে ১৯৬৩ সালে সালাউদ্দিন পরিচালিত ‘ধারাপাত’র মাধ্যমে।

১৯৭৭ সালে সুজাতা নায়িকা হিসেবে সর্বশেষ রহিম নেওয়াজ পরিচালিত ‘রাতের কলি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৮৮ সালে ‘অর্পণ’ সিনেমা পরিচালনা করে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। চলচ্চিত্রশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। এ ছাড় চলচ্চিত্রে  অবদানের জন্য ২০২১ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।

হাঙ্গামা/সানজানা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url