Pori Moni : আমাদের বিচ্ছেদ তো হয়েই গেছে
Pori Moni : আমাদের বিচ্ছেদ তো হয়েই গেছে |
আমাদের বিচ্ছেদ তো হয়েই গেছে : পরীমণি
ঢালিউড প্রতিবেদক: এ বছরের শুরুর দিন থেকেই বিচ্ছেদের প্রসঙ্গে আলোচনায় রয়েছেন শরিফুল রাজ ও পরীমণি। মাঝে অনেকদিন বিষয়টি চুপচাপ থাকলেও ২৯ মে রাতে রাজের সঙ্গে তিন অভিনেত্রীর কিছু স্ক্যান্ডাল ফাঁসের পর তাদের সংসারে ভাঙনের সুর স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ফাঁসের ঘটনায় ইঙ্গিতে পরীমণিকে দায়ী করেছিলেন অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল। এর জবাবে পরী তখন জানান, রাজ গত ১০ দিন তার সঙ্গে থাকছেন না। এরপর বিচ্ছেদের গুঞ্জন আরো জোড়ালো হয়। এবার এক সাক্ষাৎকারে প্রকাশ্যে তিনি জানালেন, কল্পনাতেও রাজকে আর নিজের জামাই ভাবতে চান না তিনি।
পরীমণি বলেন, ‘গত ২০ মে রাজ বাইরে ছিল, সেলিম ভাই (পরিচালক) ও তার বউ তাকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় এসেছিল। এসে বলেন, রাজ তো তোমার সঙ্গে থাকতে চায় না। বিচ্ছেদের ব্যাপারে চিন্তা করতে পারো। আমি বললাম, ও আমার সঙ্গে থাকতে চায় না, তাহলে ওই আমাকে ডিভোর্স দিক। আমি কেন দিতে যাব। পরে সেলিম ভাই বললেন, যদি তোমাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়, তাহলে বাচ্চাকে দেখভাল করতে কীভাবে কী করবে, চিন্তাভাবনা করে দেখো। এরপর আমি বললাম, বাচ্চা আমার কাছেই থাকবে। তবে বিচ্ছেদ হওয়ার পর অবশ্যই সে বাচ্চা দেখতে আসতে পারবে। তবে শর্ত, সে অস্বাভাবিক সময় বাসায় আসলে বাচ্চাকে দেখতে দেব না। যদি রাত চারটায় আসে, ভোরবেলায় আসে, তাহলে তো বাচ্চা দেখতে দেওয়ার সুযোগই নাই। স্বাভাবিক, সঠিক সময়ে এসে সে বাচ্চা দেখতেই পারে। কোনো সমস্যা নাই।’
তাহলে কি বিচ্ছেদের দিকে যাচ্ছে আপনাদের সংসার? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ও তো আমাকে ছেড়েই চলে গেছে, বিচ্ছেদ তো হয়েই গেছে। আমি আর কল্পনাতেও ভাবতে চাই না শরীফুল রাজ আমার জামাই। একটা মানুষ চলে গেলে তো আর ধরে রাখা যায় না। রাজ এখন বলে, আমাদের বিয়ের কাবিননামা নাকি ভুল। আমাদের নাকি ঠিকঠিক বিয়েই হয়নি। যে এভাবে বলতে পারে, সে ভয়ংকর মানুষ। তার সঙ্গে থাকা যাবে না। আমি চাই সে আমাকে তালাক দিয়ে দিক। আমি ওর প্রাক্তন, এটাই শুনতে আমার আরাম লাগবে। আমি রাজের বউ, এটি আর শুনতে চাই না।’
সম্পর্কের অবনতির বিষয়ে পরী বলেন, ‘দামাল’ ছবির মুক্তির সময় থেকেই আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক যাচ্ছিল না। রাজ আগের মতো নিয়মিত বাসায় থাকত না। সন্তানের প্রতিও তার সে ধরনের দায়িত্ব চোখে পড়েনি।’ কিন্তু এরপরও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরী-রাজকে ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এগুলো ছিল রাজের লোকদেখানো। আমার কোনো অনুষ্ঠান থাকলে সঙ্গে সে যেত। বিশ্বাস করেন, কিছুদিন আগে আমি হাসপাতালে ছিলাম, আমাকে দেখতেও যায়নি সে। আমার সঙ্গে তাঁর এখন শারীরিক, মানসিক কোনো অ্যাটাচমেন্টই নাই। আমি যখন হাসপাতালে, তখনই বাসায় রাজ তার জিনিসপত্র গুছিয়ে রেখেছিল। আগেই প্রস্তুত ছিল বাসা থেকে বেরিয়ে যাবে। সম্পর্ক রাখবে না। এভাবে তো আর সংসার, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।’
সন্তানের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে পরী বলেন, ‘রাজ আমার বাচ্চার বাপ, সেটা অস্বীকার করা যাবে না। আমরা একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু আমাদের সন্তানের জন্য আফসোস হয়ে থাকবে, বাবা-মাকে নিয়ে সুখী জীবন পাচ্ছে না আমাদের সন্তান। আর এর জন্য দায়ী রাজ। আমাকে দোষ দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। এই সংসার টেকানোর জন্য আমি কী পরিমাণ চেষ্টা করে গেছি, রাজও জানে সেটি।’
যদি রাজ আবার ফিরে আসে, তাহলে? এ প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ‘বিয়ে-সংসার কি মুদিদোকানের মতো কারবার? ফিরে আসার আর সুযোগ নাই। যে মানুষ স্ত্রী, নিজের বাচ্চার মার চরিত্র নিয়ে কথা তুলতে পারে, তার সঙ্গে ঘর করার সুযোগ নাই আর।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। মাত্র সাত দিনের পরিচয়ে তারা বিয়ে করেছিলেন। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি সেই খবর প্রকাশ্যে আনেন তারা। একই দিন সন্তানধারণের বার্তাটিও দেন এ দম্পতি। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে সারেন। একই বছরের ১০ আগস্ট তাদের ঘর আলো করে এসেছে পুত্রসন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।
হাঙ্গামা/সানজানা