Shakib Khan : কমেছে শাকিব খানের দর্শক
Shakib Khan : কমেছে শাকিব খানের দর্শক |
কমেছে শাকিব খানের দর্শক
ঢালিউড প্রতিবেদক: এবার ঈদুল ফিতরে মোট আটটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে। সিনেমাগুলো নিয়ে প্রচারের কমতি নেই। পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা, অভিনেত্রী ছাড়াও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা সিনেমাগুলো নিয়ে প্রচার অব্যাহত রেখেছে সামাজিক মাধ্যমে। প্রত্যেকেই যে যার মতো করে তাদের সিনেমার সাফল্যের কথা জানান দিচ্ছেন ঢাকঢোল পিটিয়ে। তবে সত্যিকার অর্থেই কেমন সাফল্য পাচ্ছে সিনেমাগুলো এমন প্রশ্ন অনেকেরই।
এবার ঈদের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা শাকিব খান-শবনম বুবলী অভিনীত ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’। হলের সংখ্যার দিক থেকেও সবচেয়ে এগিয়ে তপু খান পরিচালিত এই সিনেমা। দেশের শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে চলছে সিনেমাটি। শাকিব খানের কারনে দর্শকদের আগ্রহ বেশিই থাকার কথা। তবে সেই আগ্রহ ফেসবুকের পাতায় পাতায় ঘুরপাক খেলেও বাস্তব দৃশ্যপট পুরোটাই উল্টো।
দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুরের মডার্ণ সিনেমা হলে চলছে সিনেমাটি। এই সিনেমাটির কর্ণধার পারভেজ জানান, তেমন সাড়া পাচ্ছেন না সিনেমাটি চালিয়ে। ঈদের চারদিনে মোটামুটি দর্শক হলেও গ্রাফটা নিম্মমুখী। তিনি বলেছেন, প্রতিদিন চারটা শো চলছে। নাইট শোয়ে লোকই হয় না। আমার এখানে আসন সংখ্যা প্রায় ছয়শো। মঙ্গলবার দুটি শো চলছে একটিতে ২০ আরেকটি শোয়ে ৩০ শতাংশ দর্শক হয়েছে। মোটকথা দর্শক বাড়েনি, কমেছে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম জনপদের শহর খুলনা। এই বিভাগীয় শহরের শঙ্খ সিনেমা হলেও চলছে ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’। হলটির ম্যানেজার রেজাউল করিম বলেন, প্রথম দুদিন মোটামুটি দর্শক হলেও সোমবার থেকে দর্শক কমেছে। প্রতিদিন চারটি শো চালাচ্ছি। ৪১০ আসনের মধ্যে এই চারদিনে সর্বোচ্চ ১৫০ টিকিট সেল করতে পেরেছি। মঙ্গলবার সকাল ও দুপুরের ৪০/৫০জন করে দর্শক হয়েছে।
দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রামকে দেশের বানিজ্যিক রাজধানীও বলা হয়। এই নগরীর সুগন্ধা সিনেমা হলে প্রদর্শিত হচ্ছে শাকিব খানের এই সিনেমাটি। এখানেও দর্শক কমেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই হলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাইফ হোসেন বলেন, গেল তিনদিন মোটামুটি ভালো চললেও আজ টিকিট সেল কমে গেছে। গতকালকের অর্ধেকে নেমে এসেছে। এখানে ২১৬টি আসনের মধ্যে মঙ্গলবার দুপুর তিনটায় ৪০-৪৫টি টিকিট সেল হয়েছে। এর আগের শোয়ে ২০টির মতো সেল হয়েছে।
দর্শক কমে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শাকিব খানের আলাদা ভক্তই আছে। আমার মনে হয় তাদের বড় একটা অংশ ইতোমধ্যেই সিনেমাটি দেখেছে। সে কারণেই মনে হয়, সেলটা কমে গেছে। এভাবে যদি সেল কমতে থাকলে আগামী সপ্তাহে সিনেমা পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের জেলা মৌলভীবাজারের একটি উপজেলা শ্রীমঙ্গল। এই শহরের রাধানাথ সিনেমা হলে ম্যানেজার জহির খন্দকার বলেন, সার্ভার সমস্যার কারণে ঈদের দিন ৪টি শো দেখানোর কথা থাকলেও ২টি শো হয়েছে। পরের দিন অবশ্য ৪টি শো হয়েছে। আবার সোমবার ২টি শো হয়েছে। মঙ্গলবার এরইমধ্যে দুটি শো চলেছে। শাকিবের সিনেমার তুলনায় আশানুরূপ দর্শক হয়নি।
এদিকে, রাজধানীর মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে দর্শক রয়েছে। তবে সিঙ্গেল স্ক্রিনের চিত্র আবার কিছুটা বিপরীতমুখী। ঢাকার চিত্রামহলে দুপুর ১২টায় ৪০-৫০ জন নিয়েও শো চলেছে, সন্ধ্যার শোতে একটু দর্শক বাড়ে। বিষয়টি জানিয়ে আবু মিয়া নামের হলের একজন কর্মকর্তা বলেন, শাকিবের সিনেমা অন্যান্য হিরোদের চেয়ে বেশি চলে। কিন্তু যেমন বাম্পার আশা করেছিলাম তেমন দর্শক হচ্ছে না।
সিনেমাসংশ্লিষ্টদের মত, শাকিবের দর্শক অনেক জায়গায় কমেছে। ৩০-৩৫ শতাংশ হলে ভালো চলছে। রিটার্ন দর্শক কমেছে বলেই মনে করছেন কেউ কেউ। তাদের মতে, পরিবারের কিংবা বন্ধু মহলের একজন আগে সিনেমা দেখলে গল্প শুনে অনেকেই আসত। তবে এবার সেটি হচ্ছে না, এ কারণেই দর্শক কম হতে পারে।
হাঙ্গামা/সানজানা