Noya Manush : এ বছরই আসবে ‘নয়া মানুষ’
-16-04-2.jpg "Noya Manush : এ বছরই আসবে ‘নয়া মানুষ’") |
| Noya Manush : এ বছরই আসবে ‘নয়া মানুষ’ |
এ বছরই আসবে ‘নয়া মানুষ’
ঢালিউড প্রতিবেদক: মাসুম রেজার চিত্রনাট্যে নির্মিত হচ্ছে ভিন্ন ধারার সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ২০২২ সালের অক্টোবরে চাঁদপুরের কানুদির চরে শুটিং হচ্ছিল এই সিনেমার। সেসময় সুপার সাইক্লোন সিত্রাং-এর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিলো শুটিং সেট। কাজ শেষ না করে মাঝপথেই জীবন নিয়ে ফিরতে হয়েছিল নির্মাতা-শিল্পী-কুশলীদের। অবশেষে ২০২৩ সালের এপ্রিলে ফের একই চরে গিয়ে নতুন সেট তৈরি করা হয়। এরপর ৬ এপ্রিল থেকে টানা শুটিং করা হয় ১২ এপ্রিল পর্যন্ত। এরমধ্যে শেষ হয় সিনেমাটির পুরো শুটিং।
আ.মা. ম. হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালু চরে’ উপন্যাস অবলম্বনে ভিন্ন ধারার এ সিনেমাটি নির্মাণ করছেন সোহেল রানা বয়াতি। ‘নয়া মানুষ’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রান্তিক মানুষদের যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে বাঁচতে হয়, আমাদেরও এই সিনেমাটি বানাতে গিয়ে তাই করতে হলো। প্রথমবার সিত্রাং ঝড়-বৃষ্টি, এবার তীব্র তাপদাহ মোকাবেলা করে কাজ করতে হয়েছে। আনন্দের ব্যাপার হচ্ছে কোনো বাধাই আমাদের মনোবল নষ্ট করতে পারেনি। সুন্দরভাবে শুটিং শেষ করতে পেরেছি। আমি ভাগ্যবান প্রথম চলচ্চিত্রে সবার এতোটা সহযোগিতা পেয়েছি।
সিনেমার অন্যতম চরিত্রে অভিনয় করছেন মৌসুমী হামিদ। এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আগের লটে আমরা সিত্রাংয়ের মুখে পড়ি। সে এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। সেই ঝড় মুখে নিয়ে আমরা মাইক্রোতে করে ঢাকায় ফিরি, প্রাণে বাঁচি। যদিও আমাদের পুরো সেট উড়ে যায়। এবারও কষ্ট কম করিনি। রোজ সেহরির সময় আমাদের কাজ শেষ হতো। চাঁদপুর শহরের একটা হোটেলে থাকতাম। কাজ শেষ করে চর থেকে হোটেলে যেতে ২ ঘণ্টা সময় লাগতো। হোটেলে গিয়ে ২-৩ ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে আবার চরে ফিরতে হতো। প্রতিদিন ১৮-১৯ ঘণ্টা এই তীব্র গরমের মধ্যে কাজ করেছি। চেষ্টা করেছি একটা ভালো গল্পে প্রাণ দিতে।’
কমল চন্দ্র দাসের চিত্রগ্রহণে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রটিতে আরো অভিনয় করছেন রওনক হাসান, আশীষ খন্দকার, ঝুনা চোধুরী, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, স্মরণ সাহা, শিখা কর্মকার, মাহিন রহমান, পারভীন পারু, মেরি, শিশুশিল্পী উষশী প্রমুখ। সিনেমাটি মুক্তি প্রসঙ্গে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নান্দনিক ফিল্মস জানায়, চলতি বছরেই মুক্তি দেয়া হবে চলচ্চিত্রটি।
হাঙ্গামা/মৃদুলা
-05-08-2023.jpg)
