Mini Mathur : ইন্ডিয়ান আইডলের গোপন তথ্য ফাঁস করলেন মিনি

Mini Mathur : ইন্ডিয়ান আইডলের গোপন তথ্যও ফাঁস করলেন মিনি
Mini Mathur : ইন্ডিয়ান আইডলের গোপন তথ্য ফাঁস করলেন মিনি


ইন্ডিয়ান আইডলের গোপন তথ্য ফাঁস করলেন মিনি


বলিউড প্রতিবেদক: দেখতে দেখতে ভারতীয় সংগীত বিষয়ক আপাতবাস্তব অনুষ্ঠান ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-র ১৩টি সিজন সম্পন্ন হয়েছে। সর্বশেষ সিজনে আইডলের ট্রফি জিতেছেন ঋষি সিং। বিপুল জনপ্রিয় এই শো নিয়ে মাঝে মাঝেই বিতর্ক শুরু হয়। এমনকি এটি ‘পাতানো প্রতিযোগিতা’ হিসেবেও দাবি করেছেন অনেকে। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রথম ছয়টি সিজনের সঞ্চালক মিনি মাথুর। ফাঁস করেছেন ইন্ডিয়ান আইডলের ভেতরের কিছু গোপন তথ্যও।

প্রথম ছয়টি সিজনের পর সেই ভূমিকায় আর দেখা যায়নি অ্যাঙ্কর মিনি মাথুরকে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়ান আইডলের সবকিছুই আগ থেকে তৈরি করা। এর ইউএসপিটাই এখন হারিয়ে ফেলেছে। তাই এখান থেকে স্বেচ্ছায় সরে এসেছি। আগে অংশগ্রহণকারীদের পারফরমেন্সের ওপর নির্ভর করে শো চলত, তবে এখন আর তা হয় না। প্রোডিউসারদের চাহিদা বদলে গেছে। এখন গল্প বা মূহুর্ত তৈরি প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

এমটিভি খ্যাত সাইরাস ব্রোচার পডকাস্টে মিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়ান আইডলের জন্মলগ্ন থেকেই এর সঙ্গে জড়িত ছিলাম। শুধু সঞ্চালনা নয়, এই শোর সঙ্গে একপ্রকার আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে এতটাই ভালো সম্পর্ক ছিল যে, তাদের অনেককে বাড়িতে ডেকে দাওয়াত খাইয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘শুধু ক্যামেরার সামনেই নয়, অফ ক্যামেরাতেও সারাক্ষণ আমার মুখে হাসি লেগেই থাকত। শোর সঙ্গে জড়িত প্রায় প্রত্যেকের জন্যই কিছু না কিছু করেছি। তবে যতদিন গেছে ইন্ডিয়ান আইডলের বাস্তবতাই মুছে যেতে শুরু করে। তাই আর কাজ চালিয়ে যেতে পারিনি। আর কোনো বাস্তবতাই বেঁচে ছিল না। অংশগ্রহণকারীদের আত্মীয়রা স্টেজে আসবেন, তা আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হত। তা সত্ত্বেও তাদের বলে দেওয়া হত, বাড়ির লোককে দেখে অবাক হয়েছেন এমন অভিনয় করতে।’

শো-এর অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে মিনি বলেন, ‘একদিন প্রোডিউসার এসে বলেছিলেন, ধর্মেন্দ্র আর হেমা মালিনি আসছেন; তাদের সঙ্গে মোমেন্ট তৈরি করতে হবে। এ ধরনের নির্দেশের পরও নিজের মতো করে কাজ করতে চেয়েছি, কিন্তু তা আর হয়নি। কারণ নিয়মিতই এ ধরনের কাজের জন্য বাধ্য করা হত। একপর্যায়ে আমার মনে হয়, শুধুমাত্র টাকার জন্য আমি এ কাজ করতে পারি না। এটা আর সেই আগের শো নেই, যেখানে এতোদিন কাজ করেছি আমি। তাই সেখান থেকে বের হয়ে আসি।’

হাঙ্গামা/প্রিয়াঙ্কা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url