Rohingya : প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘রোহিঙ্গা’

প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘রোহিঙ্গা’
প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘রোহিঙ্গা’

প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘রোহিঙ্গা’


পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে রোহিঙ্গারা। তাদের এই আগমন শুরু হয় ১৯৭৮ সাল থেকে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের অক্টোবর ও ২০১৭ সালের আগস্টে বানের স্রোতের মতো বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আগমন ঘটে। বাংলাদেশ সরকার তাদেরকে আশ্রয় ও ভরন-পোষনের দায়িত্ব নিয়ে মানবতার অনন্য নজির স্থাপন করে। কিন্তু কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা তাদের জন্য নির্ধারিত স্থানে না থেকে পালিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায় এবং অপরাধমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। এমনকি তাদের হিংস্রতায় প্রাণ হারায় অনেক সাধারণ বাংলাদেশি।

মিয়ানমারের সামরিক নির্যাতনের স্বীকার এই নিপিরিত জাতির কর্মকান্ডে যেন গোটা বাংলাদেশই আতঙ্কগ্রস্থ। এবার সেই রোহিঙ্গার দেখা মিলবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে। তবে এ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা নয়, এটি চলচ্চিত্র নির্মাতা অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের সিনেমা ‘রোহিঙ্গা’। যা মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ২১ অক্টোবর। রাজধানীর এফডিসিতে এক জমকালো অনুষ্ঠানে সিনেমাটির নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলী ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে মুক্তির দিন ঘোষণা করা হয়।

অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গাদের নিয়ে অনেক আগেই সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন। তার এই পরিকল্পনা ছিল ২০১২ সালে। দীর্ঘ সময় ধরে সিনেমার কাহিনী ও চিত্রনাট্য রচনা শেষে তিনি সিনেমাটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ সিনেমার শুটিং করছেন নাফ নদী, শাহপরী দ্বীপ, উখিয়া ও টেকনাফে। রোহিঙ্গাদের আগমনের ঢলের মধ্যেই পরিচালককে বেশ কষ্ট করে শুটিং করতে হয়েছে।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ঘটা অমানবিক বিষয়গুলো নিয়েই নির্মিত হয়েছে এ চলচ্চিত্র। যা চলচ্চিত্র আকারে ভবিষ্যতের ইতিহাস হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে চান ডায়মন্ড। এ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রনায়িকা আরশি হোসেন। তিনি সিনেমা প্রসঙ্গে বলেন, "কিছু কাজ থাকে যেটা সম্পর্কে অনেক কিছু বলতে চাই, কিন্তু বলা যায় না। অনুভূতি প্রকাশ করতে পারি না। এই সিনেমায় সবাই দারুণ অভিনয় করেছেন। এখানে অভিনয় করিনি, চরিত্রের ভেতর ঢুকে গিয়েছিলাম।"

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ক্যারিয়ারের এটি পঞ্চম সিনেমা। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে। এরপর নানা কারণে সিনেমাটির শুটিং পিছিয়ে যায়। করোনা মহামারি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সিনেমাটির বাকি কাজ শেষ করে জমা দেওয়া হয় সেন্সরে। সিনেমাটি গত বছরের নভেম্বরে সেন্সর বোর্ড থেকে আনকাট সেন্সর পায়। চলচ্চিত্র মুক্তি প্রসঙ্গে ডায়মন্ড বলেন, "আমি বলব যে সবাই সিনেমাটি দেখুক, দেখে তাদের কেমন লাগল, ভালো-মন্দ যেটাই হোক, সেটা নিয়ে কথা বলুক।"

আরশি হোসেন ছাড়াও এ সিনেমায় দেখা যাবে ওমর আয়াজ অনি, সাগর, বৃষ্টি, তানজিদ, শাকিবা, হায়াতুজ্জামান, গোলাম রাব্বানি মিন্টুসহ আরো অনেককেই।

হাঙ্গামা/অর্ণব
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url