Tanya Pardazi : টিকটক করতে গিয়ে মারা গেলেন তানিয়া

Tanya Pardazi : তানিয়া পারদেজি
Tanya Pardazi : তানিয়া পারদেজি

টিকটক করতে গিয়ে মারা গেলেন তানিয়া


স্যোশাল মিডিয়ায় দিনকে দিন যুক্ত হচ্ছে সবাই। পৃথিবীর প্রায় নব্বই শতাংশ মানুষই যুক্ত রয়েছে ভার্চুয়াল এই মাধ্যমে। নিত্য প্রয়োজনীয় এই ব্যবস্থায় বাড়ছে ভিডিও মেকার বা কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের কদর। তাদের কথা মাথায় রেখে তৈরি হচ্ছে একের পর এক প্লাটফর্ম। মাইক্রো ভিডিও ব্লগিংয়ের জন্য তেমনই একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হচ্ছে টিকটক।

টিকটকে ভিডিও মেকিং করতে গিয়ে অসংখ্য টিকটকারই দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এমনকি অকালে মারাও গেছেন অনেকে। এবার টিকটকের জন্য ভিডিও নির্মাণ করতে গিয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় টিকটকার তানিয়া পারদেজি। ভিডিও নির্মাণ করতে প্রায় চার হাজার ফুট উচু থেকে লাফ দিয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশদ্ভূত কানাডিয়ান এই টিকটকার। 

তানিয়া পারদেশিকে প্রায় দশ লক্ষ মানুষ ফলো করতেন টিকটকে। অতিঝুকিপূর্ণ এডভেঞ্চার পছন্দ করতেন তিনি। তার শখ ছিলো আকাশে ভেসে বেড়ানো। আর তাই কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিওলজি নিয়ে পড়ালেখা শেষ করার পড়ে "স্কাইডাইভ টরেন্টো ইন ইননিসফিল, ওন্টারিও" থেকে স্কাইডাভিং এর উপর একটি শর্ট কোর্সও করেছিলেন তিনি। 

কোর্স শেষ করে স্কাই ডাইভিংয়ে হাতে খড়ি নিতে চান তানিয়া। আর তাই সিদ্ধান্ত নেন, চার হাজার ফুট উচ্চতা থেকে ঝাঁপ দেবেন তিনি। তাও আবার একা। ইচ্ছে অনুযায়ী করেনও তাই। কিন্তু সময়মত প্যারাসুট খুলতে পারেননি এই ২১ বছর বয়সী টিকটকার। ফলে মাটিতে আছড়ে পড়ে গুরুতর আহত হন তানিয়া। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

টরন্টোর স্কাইডাইভ সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘তানিয়া অনেক নীচে এসে প্যারাসুট খোলার চেষ্টা করেছিলেন। ফলে উপযুক্ত বাতাসের চাপের অভাব থাকায় তা খোলেনি। আর তাতেই এমন দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তিনি।’’

তানিয়া বরাবরই দুঃসাহসিক কাজ করতে পছন্দ করতেন। তিনি সবসময়ই ঝুকিপূর্ণ কাজ করে, সেই ভিডিও ধারণ করে পোস্ট করতেন টিকটকসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার স্কাইডাইভিংয়ের হাতেখড়ি নিচ্ছিলেন। কিন্তু তাতেই প্রাণ হারাতে হরো তাকে। তানিয়ার কানাডিয়ান এক বন্ধু বলেছেনছেন, ‘‘অ্যাডভেঞ্চারের খুব শখ ছিল ওর। ও সবসময় বলতো অ্যাডভেঞ্চার না থাকলে লাইফ খুবই বোরিং!’’ 

হাঙ্গামা/শোভন বিশ্বাস
Next Post Previous Post
1 Comments
  • নামহীন
    নামহীন ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:২১

    অছিনা।আখতার

Add Comment
comment url