Moonmoon : মুখ খুললেন সেই মুনমুন
মুখ খুললেন সেই মুনমুন |
মুখ খুললেন সেই মুনমুন
ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের পর্দা কাঁপানো চিত্রনায়িকা মুনমুন। ১৯৯৭ সালে ‘মৌমাছি’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন তিনি। যা পরিচালনা করেছিলেন বরেণ্য নির্মাতা এহতেশাম। এরপর ‘লড়াই’ এবং ‘মৃত্যুর মুখে’ সিনেমার মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন। এরপর দীর্ঘদিন দখল করেছিলেন বাংলাদেশের শীর্ষ নায়িকার স্থান। দীর্ঘ বছর পর্দায় দেখা যাচ্ছেনা তাকে। তবে মোনা যাচ্ছে আগামী মাসেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার ‘রাগী’ সিনেমাটি। এবার চলচ্চিত্র ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন তিনি। বললেন অজানা অনেক কথা।
* কেমন আছেন, নতুন কাজকর্ম শুরু করলেন?
=> আলহামদুলিলস্নাহ অনেক ভালো। না, এরমধ্যে নতুন কোনো ছবির কাজ ধরিনি। তবে আগামী মাসে মিজানুর রহমান মিজানের ‘রাগী’ সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে শুনেছি। এই ছবিটিতে আমি ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করেছি।
* সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো কেমন মনে করছেন?
=> আমি এখন পর্যন্ত কোনো সিনেমা হলে গিয়ে দেখিনি। তবে মিডিয়া থেকে যেসব খবর পাই তাতে তো মনে হচ্ছে ভালোই হচ্ছে এখনকার সিনেমা।
* একসময় যথেষ্ট ব্যস্ত ছিলেন। এখন কাজ কম করছেন কেন?
=> আমি কখনই যথেষ্ট ব্যস্ত ছিলাম না। এখানে আমার ক্যারিয়ার মাত্র পাঁচ বছরের। এ সময়ে তো আরও অনেকেই ব্যস্ত সময় পার করেছেন। আমি একা তো ব্যস্ত ছিলাম না। এখন আমার ঘরেই প্রচুর কাজ থাকে। এই কাজ ফেলে আমার পক্ষে সব জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে নায়িকা হয়ে যারা কাজ করেন তারা তো সারাজীবন কাজ করতে পারবেন না। কেউ হয়তো ক্যারেক্টার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করবে কেউ হয়তো আর কাজই করবে না।
* অনেকেই তো দীর্ঘসময় নায়িকার চরিত্রে কাজ করেছেন?
=> এটা শাবনূরের ক্ষেত্রে মানায়। নব্বই দশকে এফডিসিতে আসেন তিনি এবং ২০১২ সাল পর্যন্ত একটানা কাজ করেছেন। মৌসুমীও নব্বই দশকের আগে থেকে শুরু করে এখনো অভিনয় করে যাচ্ছেন। পপিও দীর্ঘসময় কাজ করেছেন। এখনো তার চাহিদা আছে। আরও অনেক বড় বড় আর্টিস্ট আছেন যারা পঁয়তালিস্নশ/পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত নায়িকা হিসেবে কাজ করেছেন। আমি তো সেরকম না। অল্প কিছুদিনের জন্য এসেছিলাম। তারপর স্বেচ্ছায় চলে আসি। আমি এখন নিজেকে নিয়ে অনেক হ্যাপি।
* আপনি বা ময়ূরীর নায়ক শাকিব খান এখনো আছেন। আপনারা নেই- আক্ষেপ নেই?
=> এ নিয়ে আমার কোনই আক্ষেপ নেই। আমি বেঁচে আছি এটাই বড় কথা। আমার তো সারাজীবন যায়নি সিনেমায়। আরেকটা কথা, শুরুতে শাকিব আমার সঙ্গেই অভিনয় করেছেন। ময়ূরী তো বি গ্রেডের নায়িকা। তার সঙ্গে প্রথমে শাকিব অভিনয় করেননি। তিনি ছিলেন পার্শ্ব অভিনেত্রী। প্রধান নায়িকা ছিলেন পপি। আর আমি এমন অভিনেত্রী যে সবসময়েই নতুনদের সুযোগ দিয়ে আসছি। কাউকে অগ্রাহ্য করতাম না। নতুন হিসেবে শাকিবকেও সুযোগ দিয়েছি। পরে শাকিব শাবনূরের মতো প্রমিজিং অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি হওয়ার পর তার সঙ্গে আমার আর অভিনয় করা হয়ে ওঠেনি।
* মানুষ তো বেঁচে থাকার জন্যই কাজে থাকেন। তেমন কোনো কাজ করেন কি?
=> আমি আপাতত ঘরেই আছি। এখন নিজেকে আমি বাইরে শো করতে পছন্দ করি না। এটা আমার মানসিক সমস্যা কিনা জানি না। তবে ভবিষ্যতে হয়তো কোনো একটা কাজ শুরু করব। এখন যেসব কাজ হচ্ছে তার সবই হচ্ছে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। তারা গ্রম্নপ ওয়াইজ কাজ করছেন। আমি যেহেতু তাদের এই গ্রম্নপের সঙ্গে নাই তাই কাজ করতে পারছি না। সত্যি কথা বলতে কি আমার এখন এই শোবিজের লাইফটাই ভালো লাগে না।
* ঘরে টিভি-ওটিটিতে বিনোদনের খবর রাখেন?
=> আসলে আমার অভিজ্ঞতাটি খুব খারাপ তো তাই এখন বিনোদনের কিছুই দেখি না। তবে করোনার আগে গ্রাম-বাংলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোর সঙ্গে থাকতাম। যাদের জন্য আমি মুনমুন হতে পেরেছিলাম। এখন সেগুলোও বন্ধ। যা কিছু হচ্ছে সেখানেও দেখছি অন্য কেউ যোগ দিচ্ছে। সেখান থেকে কোনো ডাক পাই না। এটাও এখন সিন্ডিকেটের কব্জায় চলে গেছে। সেজন্যও হয়তো সেখানে থাকতে পারছি না। আমার প্রিয় সাবজেক্ট হচ্ছে অ্যাস্ট্রোনমি সায়েন্স। এখন এ নিয়ে করা বিভিন্ন কন্টেন্টগুলোই দেখি।
হাঙ্গামা/সানজানা