Border : এবার আটকে গেল ‘বর্ডার’
এবার আটকে গেল ‘বর্ডার’ |
এবার আটকে গেল ‘বর্ডার’
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ঢাকাই সিনেমা ‘বর্ডার’র ট্রেলার। সৈকত নাসির পরিচালিত এ সিনেমাটি খুব শিগগিরই মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও তা আর হচ্ছে না। কারণ মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমার মতো এ সিনেমাটিও আটকে দিয়েছে সেন্সর বোর্ড। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের উপপরিচালক মো. মমিনুল হক। তবে কি কারণে ছাড়পত্র পেলো না ‘বর্ডার’ তা জানায়নি তারা।
‘বর্ডার’কে ছাড়পত্র না দেয়ার ব্যপারে সেন্সর বোর্ডের উপপরিচালক মো. মমিনুল হক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘আমরা গত সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছি। সিনেমাটি হলে প্রদর্শনের অনুপোযুক্ত হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি।’’ সেন্সরে আটকে যাওয়ার প্রসঙ্গে এই সিনেমার নির্মাতা সৈকত নাসির বলেন, ‘‘বোর্ডের চিঠিতে অনেকগুলো পয়েন্ট ছিল। আমরা নিজেদের মতো করে কিছু সংশোধন করে ছবিটি আগামী মাসে জমা দেব।’’
ঠিক কী কারণে আটকে দেয়া হলো ‘বর্ডার’ সে বিষয়ে মুখ খোলেননি নির্মাতা ও সেন্সর বোর্ড। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিনেমাটিতে জনপ্রতিনিধিদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়া সত্ত্বেও বিজিবির পরিবর্তে পুলিশকে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে। একারণেই সেন্সরে আটকে দেওয়া হয়েছে সিনেমাটি।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, ‘‘আমরা সীমান্তবর্তী এলাকার গল্প বললেও সীমান্তের গল্প বলিনি। সেখানকার একটি থানার গল্প বলেছি। সেখানে একটি বিশেষ ঘটনা নিয়ে পুলিশ কাজ করে। তাছাড়া গল্পে একটা পর্যায়ে পুলিশ সীমান্তে যায়, তখন অফিসার তার অধীনস্থকে জিজ্ঞেস করেন, এটা তো সীমান্ত এলাকায়, এখানে কিন্তু বিজিবির অনুমতি নিতে হবে। তা নেওয়া হয়েছে কি না? জবাবে তাকে জানানো হয় লিখিত ও মৌখিক দুই ধরণের অনুমতিই নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের ভালো করেই ধারণা আছে সীমান্ত এলাকায় কার কী দায়িত্ব।’’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘‘মন্ত্রী, এমপির কোনো গল্প আমরা দেখাইনি। শুধু একজন পিএসের গল্প দেখিয়েছি। কিন্তু সে কীসের পিএস তা তো আমরা গল্পে বলিনি। কেউ যদি ধরে নেন সে মন্ত্রী, এমপির লোক- তা তো দুঃখজনক।’’
সীমান্তবর্তী একটি গ্রামের নাম সুলতানপুর। ওই গ্রামে জলের ওপর পদ্ম ভাসে, জলের নিচে লাশ। সে জনপদের হাকিম-হুকুম সব বাবাজানের হাতে। তার কথায় এক ঘাটে জল খায় গ্রামের সকলে। এমনই এক গল্পে সৈকত নাসির নির্মাণ করেছেন ‘বর্ডার’ সিনেমা। ম্যাক্সিমাম এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত এ সিনেমায় ‘বাবাজান’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন গুণী অভিনেতা আশীষ খন্দকার। তিনি ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমন ফারুক, সাঞ্জু জন, অধরা খান, রাশেদ মামুন অপু, মৌমিতা মৌ, শাহিন মৃধাসহ অনেকে।
হাঙ্গামা/ধ্রুব