Censor Board : ‘‘সেন্সর বোর্ড বাতিল করতে হবে’’

‘‘সেন্সর বোর্ড বাতিল করতে হবে’’
‘‘সেন্সর বোর্ড বাতিল করতে হবে’’

‘‘সেন্সর বোর্ড বাতিল করতে হবে’’


বেশ কয়েকদিন ধরেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে বাংলাদেশের সিনেমা অঙ্গনে। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত দর্শকনন্দিত সিনেমা ‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে অযাচিত আইনি নোটিশ ও মামলসহ নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে সরকারি-বেসরকারি একটি মহল। শুধু তাই নয়, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বহুল প্রতিক্ষিত সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’ গত সাড়ে তিন বছর ধরে নিষিদ্ধ করে রেখেছে সেন্সর বোর্ড। এসব বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টসহ সিনেমাপ্রেমীরা। এবার একতাবদ্ধ হয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।

সেন্সর বোর্ডের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড বাতিলের দাবি তুলেছেন দেশের নাটক ও সিনেমা অঙ্গনের শিল্পী-নির্মাতাসহ শোবিজ সংশ্লিষ্টরা। এর পরিবর্তে আন্তর্জাতিক নিয়মে সার্টিফিকেশনের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। ২৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রাজধানী ঢাকায় ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটিতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।

আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলন থেকে পাঁচদফা দাবি উত্থাপন করেন শিল্পী ও নির্মাতারা। এ সময় অসংখ্য চলচ্চিত্রজনের মধ্যে সম্মুখভাগে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়িকা জয়া আহসান, নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, মোরশেদুল ইসলাম, তারিক আনাম খান, গাউসুল আলম শাওন, শম্পা রেজা, আফসানা মিমি। আরো উপস্থিত ছিলেন নুরুল আলম আতিক, মাসুম রেজা, কামার আহমেদ সাইমন, অমিতাভ রেজা, পিপলু আর খান, মেজবাউর রহমান সুমন, চঞ্চল চৌধুরী, ইরেশ যাকের, আজমেরী হক বাঁধন, জাকিয়া বারি মমসহ শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেকেই।

‘বাংলা চলচ্চিত্র বা কন্টটেন্টে সেন্সরশিপের খড়গ: গল্প বলার স্বাধীনতা চাই’ শীর্ষক আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন তারা। দাবিগুলো হলো -

১. ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। 
২. ‘শনিবার বিকেল’ চলচ্চিত্র কেন সেন্সর ছাড়পত্র পেল না তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চাই। 
৩. বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড বাতিল করতে হবে এবং প্রস্তাবিত চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইনের ক্ষেত্রে সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে একটি আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন প্রণয়ন করতে হবে। 
৪. প্রস্তাবিত ওটিটি নীতিমালার ক্ষেত্রে সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে একটি আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ওটিটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। 
৫. চলচ্চিত্র বা কনটেন্ট বিষয়ক কোনও মামলা দায়ের করার আগে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের (যেমন : খসড়া ওটিটি নীতিমালায় প্ল্যাটফর্মগুলোতে আলাদা কমিশন বোর্ড তৈরির প্রস্তাব আছে, এ জাতীয় কোনও কর্তৃপক্ষের) সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে।

হাঙ্গামা/ধ্রুব
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url