Bidya Sinha Saha Mim : 'পরাণ'র পরাণ মিম || শিমুল চৌধুরী ধ্রুব

পরাণ'র পরাণ মিম || শিমুল চৌধুরী ধ্রুব
পরাণ'র পরাণ মিম || শিমুল চৌধুরী ধ্রুব

'পরাণ'র পরাণ মিম || শিমুল চৌধুরী ধ্রুব


গত ১০ জুলাই ঈদুল আজহা উপলক্ষে পুরো বাংলাদেশে মাত্র ১১ টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিলো 'পরাণ'। রায়হান রাফি পরিচালিত এই সিনেমাটি চতুর্থ সপ্তাহে এসে দখল করে নিয়েছে ৬০টি সিনেমা হল। যা গত ২০ বছরে বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে তেমন একটা দেখা যায়নি। এই প্রযোজকও জানিয়েছেন ছবিটি সুপার ডুপার বাম্পার হিটের পথে রয়েছে। 

বাংলাদেশের দর্শকদের ভেতর বাংলা সিনেমার জন্য এমন উদ্মাদনা খুব কমই দেখা গেছে, যতটা দেখা গেছে পরাণ সিনেমার জন্য। বেশ কয়েক বছর আগে পটুয়াখালীর মিন্নী-নয়ন বন্ডের ঘটনা এখনো মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি। এরইমধ্যে সেই চাঞ্চল্যকর ঘটনাকে উপজীব্য করে নির্মিত 'পরাণ' যেন নাড়া দিয়ে গেলো দর্শকপ্রাণ।

এই সিনেমার এমন অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে প্রধান ভূমিকায় রয়েছে অভিনয়শিল্পীদের অভিনয়। বিশেষ করে অনন্যা চরিত্রটিই যেনো অনন্য মাত্রা তৈরি করেছে 'পরাণ'এ। প্রধান তিন চরিত্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হচ্ছে অনন্যা। এ চরিত্রের রুপদান করেছেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা সাহা মিম। যাকে ছাড়া 'পরাণ' মৃত। সেক্ষেত্রে বলাই যায়- "পরাণ'র পরাণ মিম"।

সিনেমায় অনন্যা একজন উঠতি বয়সী মেয়ে। সময়ে সময়ে তার মুড সুয়িং করে, অর্থাৎ মত ও ইচ্ছের পরিবর্তন ঘটে। এজন্য নানা ঘাত-প্রতিঘাতের সম্মুখীন হতে হয় তাকে। এমন গল্পের উপর ভিত্তি করেই এগিয়েছে 'পরাণ'। দৃশ্য যতই বদলেছে, ততই যেন পাল্লা দিয়ে বদলেছে অনন্যারুপী মিমের চরিত্র।

বেশিরভাগ সিনেমার ক্ষেত্রেই অভিনয়শিল্পীরা নির্দিষ্ট একটা চরিত্রই ধারণ করেন। অনেকে সফল হন অনেকে আবার হননা। কিন্তু 'পরাণ'র অনন্যাকে প্রতি মুহূর্তেই বদলাতে হয়েছে চরিত্রের ধরন। কখনো ছলনাময়ী, কখনো স্বার্থান্বেষী, কখনো প্রতিবাদী, আবার কখনো পাশের বাড়ির সাদামাটা আলাভোলা মেয়ে। কখনো কখনো বাবার আহলাদি এক তরুণী, আবার কখনো ক্লাসের নরম মনের হাবাগোবা ছাত্রী।

অনন্যা চরিত্রের এমন বহুমুখী ছায়ার প্রত্যেকটিই দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন মিম। তিনি এমনভাবে চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন, যেনো অনন্যা চরিত্রের জন্য তার জন্ম। সিনেমার পুরোটা জুড়েই ছিলেন তিনি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি দৃশ্যেই রয়েছে মিমের সরব উপস্থিতি।

'পরাণ'-এর অনন্যার প্রশংসায় ভাসছেন দর্শকরাও। সিনেমা দেখা শেষে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যক্ত করছেন ব্যক্তিগত অভিমত। এদের অনেকেই মিমকে জানিয়েছেন ভালোবাসা ও শুভকামনা। দর্শক চান শুধু পরাণ'র পরাণ নয়, বাংলা চলচ্চিত্রের প্রাণ হয়ে এগিয়ে যান বিদ্যা সিনহা মিম।

হাঙ্গামা/ধ্রুব
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url