Shah Humyra Subah : ২০ লাখ পেয়েছেন, আর কোনো আপত্তি নেই সুবাহর!
Shah Humyra Subah - শাহ হুমায়রা সুবাহ |
২০ লাখ পেয়েছেন, আর কোনো আপত্তি নেই সুবাহর!
বাংলাদেশের উঠতি মডেল ও চিত্রনায়িকা শাহ হুমায়রা হোসেন সুবাহ। শোবিজে তেমন কোনো কাজ না করলেও সারাদেশে রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি। কারণ তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ কয়েকবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসির হোসাইনের সঙ্গে প্রেম দিয়ে শুরু করে গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের সাথে বিচ্ছেদ ও মামলা। এর সবকিছুই সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছিলো চর্চার হট টপিক।
গত বছরের ১লা ডিসেম্বরে গোপনে বিয়ে করেন ইলিয়াস ও সুবাহ। কিন্তু মাস না পেরোতেই তাদের দাম্পত্যে লাগে ভাঙনের সুর। যা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। দুজনই দুজনার বিরুদ্ধে ঠুকেছেন মামলা। যার বিচারকার্য বর্তমানে চলমান রয়েছে। গত ২৫ জুলাই সুবাহর করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার শুনানির দিন ধার্য করা ছিলো। সেদিন ঢাকার সাত নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে সুবাহ আদালতকে জানান, তিনি আর এ মামলা চালাতে চাচ্ছেন না।
এমনকি ইলিয়াস হোসাইন খালাস পেলেও তার কোনো আপত্তি নেই, এমন কথাও বলেন ট্রাইব্যুনাল বিচারক সুলতানা খানমকে। এই দিন বিচারক সুবহার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, বিয়ের দেনমোহর কত ছিল এবং আসামী ইলিয়াস তাকে কত টাকা পরিশোধ করেছেন? এর উত্তরে সুবহা বলেন, সব মিলিয়ে ২০ লাখ টাকার মধ্যে ১০ লাখ টাকা দিয়েছে ইলিয়াস। এ সময় তাদের বিয়ের নথি দেখিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, ‘‘বিয়ের দেন মোহর মাত্র ৭ লাখ টাকা।’’
সেসময় বিচারক বলেন, ‘‘১০ লাখ তো বেশি দিয়েছে।’’ উত্তরে সুবহা বলেন, ‘‘দেনমোহর ও ৮ মাসের ভরণপোষণসহ অন্যান্য কিছু মিলিয়ে মাত্র ১০ লাখ দিয়েছে।’’ এরপর বিচারক সুবহার কাছে পাল্টা জানতে চান, ‘‘১০ লাখ টাকা পেয়েছেন। আপনি কি এতে স্যাটিসফাই? স্যাটিসফাই না হলে মামলা চালাতে পারেন।’’ তখন সুবহা বলেন, ‘‘আমি আর মামলা চালাতে চাই না। আসামি খালাস পেলেও আমার কোনো আপত্তি নেই।’’
কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুবাহ ইলিয়াসের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেননি, তিনি নিয়েছেন ২০ লাখ টাকা। আর তা পেয়েছেন মাসখানেক আগে। যা তাকে নগদ টাকায় দেওয়া হয়। এরমধ্যেই তা প্রমাণসহ আদালতে তোলা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ ইলিয়াস ও সুবাহ।
গায়ক ইলিয়াসের একাধিক ঘনিষ্ট সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলাটি ২০ লাখ টাকায় মীমাংসা করা হয়েছে। তাই সে (সুবাহ) মামলা থেকে সরে এসেছে। কারণ টাকা পাওয়ার পর তার আর কোন অভিযোগ নেই। এজন্যই ইলিয়াস খালাস পেলেও আর কোনো আপত্তি নেই সুবাহর।
এদিকে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৭-এর বিচারক আবেরা সুলতানা খানম মামলার সাক্ষ্য ও যুক্তি উপস্থাপন শেষে আগামী ২৭ জুলাই (বুধবার) রায়ের দিন ধার্য করেন। সেদিনই জানা যাবে কি আছে ইলয়াস ও সুবাহর ভাগ্যে।
হাঙ্গামা/সানজানা