Mainul Ahsan Noble : জনপ্রিয়তা হারিয়ে করুণ অবস্থা নোবেলের

জনপ্রিয়তা হারিয়ে করুণ অবস্থা নোবেলের
জনপ্রিয়তা হারিয়ে করুণ অবস্থা নোবেলের

জনপ্রিয়তা হারিয়ে করুণ অবস্থা নোবেলের


একটা সময় মইনুল আহসান নোবেল মানেই ছিলো প্রশংসার জয়জয়কার। ভারতীয় টেলিভিশনে বাংলাদেশের লেজেন্ডারি শিল্পীদের ইতিহাস সৃষ্টি করা গান কাভার করেই মূলত তিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন। সে সময় তার আকর্ষনিয় কন্ঠের কারণে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতেও পেয়েছিলেন আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা। সেই ধারাবাহিকতায় পশ্চিমবঙ্গের সিনেমায়ও গান গেয়েছেন তিনি।

অচেনা-অজানা নোবেল থেকে রাতারাতি তারকা বনে যাওয়ায় অহংকার এবং অহমিকা ঝেকে ধরেছিলো তাকে। নিজেকে বাংলা সংঙ্গীতের প্রধান গায়ক ভাবতে শুরু করেন তিনি। সস্তা জনপ্রিয়তার চূড়ায় বসে কিংবদন্তী তারকাদের নিয়ে করতে থাকেন বিতর্কিত ও বাজে মন্তব্য। তার এমন বিদ্বেষপূর্ণ আক্রমনের শিকার হন গায়ক আসিফ আকবর, কিংবদন্তী পপগুরু জেমস সহ আরো অনেকেই। এমনকি বাদ জাননি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও।

অহংকার পতনের মূল। প্রচলিত এই প্রবাদ বাক্যের অন্যতম উদাহরণ যেনো মইনুল আহসান নোবেল। একের পর এক নোংরা বিতর্কিত কর্মকান্ড ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের জন্য এরমধ্যেই হারিয়েছেন জনপ্রিয়তা। এরই প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে তার প্রকাশিত নতুন গানে। এবারের ঈদুল আযহায় ইউটিউবে প্রকাশ করা হয় নোবেলের নতুন গান ‘অপর প্রান্তে’। যা ভিউয়ের দিক থেকে মুখ থুবরে পড়েছে।

‘অপর প্রান্তে’ শিরোনামের এই গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল এবং এর সুর করেছেন সংগীতশিল্পী ও সুরকার শওকাত। ৮ জুলাই গানটি উন্মুক্ত করা হলেও ১৪ জুলাই পর্যন্ত গানটি দেখা হয়েছে মাত্র ৩৫ হাজার বার। একসময় নোবেল মানেই ছিল মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ। সেখানে এই গানে ৭ দিনে এতো স্বল্প ভিউ স্পষ্ট প্রমান করে দেয় নোবেলের জনপ্রিয়তার করুণ অবস্থাকে।

এখন পর্যন্ত ইউটিউবে সবচেয়ে বেশিবার দেখা নোবেলের গান হচ্ছে ‘অভিনয়’। যা ২ কোটি ২০ লাখ বার দেখা হয়েছে। এরপর মেহেরবান নামে আরেকটি গানট মুক্তি পেয়েছিলো। সেটি কোটির ঘরে না গেলেও বেশ কয়েক লাখ মানুষ দেখেছিলো। এই গান দুটি মুক্তির আগ মুঞুর্তেই বেশি বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। কিংবদন্তী জেমসকে গালাগাল দিয়ে পোস্ট করেছিলেন নোবেল। এমনকি তাকে গান শেখাবেন বলেও দৃষ্ঠতামূলক মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

হাঙ্গামা/ধ্রুব
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url