Sushant Singh Rajput : মৃত্যুর ২ বছর: কী ঘটেছিল সেদিন?

Sushant Singh Rajput - সুশান্ত সিং রাজপুত
Sushant Singh Rajput - সুশান্ত সিং রাজপুত

মৃত্যুর ২ বছর: কী ঘটেছিল সেদিন?


দেখতে দেখতে চলে গেল দুইটি বছর। সময়ের নিয়মে গড়িয়ে গেল সময়ের চাকা। সময়ের সাথে সাথে অনেকেই হারিয়ে যায় কালের গহবরে, আবার কেউ কেউ জ্বলে থকে তারার মতো। তাদেরই একজন ছিলেন বলিউডের তরুণ তুর্কি সুশান্ত সিং রাজপুত। কলিতেই ঝরে যাওয়া এই অভিনেতা ছিলেন সকলের প্রিয় তারকা। যার মৃত্যুর শোক কাটেনি দু বছরেও।

দিনটি ছিলো ২০২০ সালের ১৪ই জুন। অতিমারি করোনার লকডাউনে স্তব্দ পুরো পৃথিবী। এরমধ্যে আচমকাই পাওয়া যায় সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর কবর। এই দুঃসংবাদ নাড়িয়ে দিয়েছিলো গোটা দক্ষিণ এশিয়াকে। প্রিয় তারকার অকাল মৃত্যুতে স্তম্ভিত হয়ে যায় গোটা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ও সিনেমাপ্রেমীরা। তার মৃত্যুকে ঘিরে লুকিয়ে আছে রহস্য। মানসিক অবসাদ নাকি অন্য কিছু, জানা যায়নি এখনো।

২০২০ সালের আজকের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সুশান্ত। সেদিন ভারতের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজ ফ্ল্যাট থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তাকে হত্যা, আত্মহত্যার প্ররোচনার মতো নানা অভিযোগ উঠলেও এই দুবছরেও উদঘাটন হয়নি এই তরুণ তারকার মৃত্যু রহস্য। 

যদিও প্রশাসনের দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এটি আত্মহত্যা, তবে পুলিশের এ দাবি মানতে নারাজ সুশান্তের পরিবার ও তার ভক্তকুল। তাদের দাবি, সুশান্তকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই তারকার ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানির দেয়া বক্তব্যে জানা যায়, ‘‘১৪ জুন সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার দিকে ড্রইংরুমে গান শুনছিলাম। সেই সময় সুশান্তের স্টাফ কেশব এসে আমায় জানায়, সুশান্ত দরজা খুলছে না। এরপর আমি দীপেশকে সঙ্গে নিয়ে দুজনে সুশান্তের ঘরের দরজায় ধাক্কা দিই, কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ মেলেনি। এরপর তার বোন মিতু সিংকে ফোন করে জানাই।’’

এরপর বিল্ডিংয়ের গার্ডের কাছ থেকে চাবিওয়ালার খোঁজ নেন দীপেশ। তাঁর কাছ থেকে কোনো খোঁজ না পেয়ে ইন্টারনেট থেকে মুহাম্মদ রাফি নামের এক চাবিওয়ালার নম্বর জোগাড় করে ফোন করেন পিঠানি। বেলা ১টা ২০ মিনিটে নাগাদ সেই চাবিওয়ালা এসে জানান, চাবি তৈরিতে সময় লাগবে। তালা ভাঙার নির্দেশ দেন পিঠানি। ফোনে এই সিদ্ধান্ত মিতু সিংকেও জানান সিদ্ধার্থ। তালা ভাঙা হলে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন পিঠানি এবং দীপেশ।

সুশান্ত সিংয়ের অপমৃত্যুর মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিলো সিদ্ধার্থ পিটানিকে। তিনি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আরও বলেন, ঘর ছিল অন্ধকার। আলো জ্বেলে আমরা দেখি, সিলিং ফ্যানে ঝুলছে সুশান্তের মরদেহ। মুখটা জানালার দিকে ফেরানো। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে মিতু সিংকে ঘটনা জানানো হয়, এরপর অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়।

এই মামলায় সবথেকে বেশি শাস্তি পেতে হয়েছে সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে। তার মৃত্যবার্ষিকীতে তিনি জানালেন, সুশান্তের প্রতি তার ভালোবাসা এখনো অটুট। এদিন দুপুরে সামাজিকমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে চারটি ছবি প্রকাশ করেছেন রিয়া। রিয়ার সঙ্গে প্রেমে মত্ত হাস্যোজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত সুশান্তের দেখাই মিলেছে সে ছবিতে। এর ক্যাপশনে প্রয়াত প্রেমিককে স্মরণ করে রিয়া লিখেছেন, ‘‘প্রতিদিন তোমাকে মিস করি।’’

স্বল্প ক্যারিয়ারে বেশকিছু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত। এরমধ্যে ‘ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী’, ‘কেদারনাথ’, ‘শোন চিড়িয়া’ ও ‘ছিছোরে’ অন্যতম। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে আরও রয়েছে ‘শুদ্ধ দেশি রোমান্স’, ‘রাবতা’, ‘দিল বেচারা’ ও ‘পিকে’। এ অভিনেতার সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ‘এম.এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’।

হাঙ্গামা/অভিজিৎ
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url