Salman Khan : একটুর জন্য প্রাণে বাঁচলেন সালমান খান
একটুর জন্য প্রাণে বাঁচলেন সালমান খান |
বন্দুকধারীর হাত থেকে একটুর জন্য বেঁচে গেলেন সালমান খান
গত ৫ জুন একটি উড়ো চিঠির মাধ্যমে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মুম্বাইয়ের বান্দ্রা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিদিনের মতো ঐদিনও প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন সালমানের বাবা সেলিম খান। তখন বান্দ্রা ব্যান্ডস্ট্যান্ড এলাকায় নির্দিষ্ট একটি স্থানে বিশ্রান নিচ্ছিলেন। সেখানেই অজ্ঞাত কেউ চিঠিটি রেখে যায়।
ওই উড়ো চিঠি উদ্ধার করেছে সেলিম খানের নিরাপত্তারক্ষীরা। উদ্ধার হওয়া সেই চিঠিতে বলিউড ভাইজান সালমান খান ও তার বাবা সেলিম খানকে হত্যা করার হুমকি দেয়া হয়েছে। পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা হত্যার ঘটনার কারণে এই হুমকির ঘটনা গ্যাংস্টারদেরই সন্দেহ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বান্দ্রা পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয়ের ব্যক্তিদের নামে এফআইআর দায়ের করেছেন।
বলিউড ভাইজানকে হুমকি দেয়া ব্যক্তিদের খুজতে উঠে পড়ে লেগেছে মুম্বাই পুলিশ। তাদের সন্দেহের তালিকায় ছিলো সিদুর হত্যাকারি লরেন্স বিষ্ণই গ্যাং। ইতোমধ্যে এই ব্যক্তিকে জেরার আওতায় নিয়েছে পুলিশ। কিন্তু বিষ্ণই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার এবং তার গ্যাং'র যোগসাজোগের কথা অস্বীকার করেছে। সন্দেহভাজন এই ব্যাক্তি বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন।
এদিকে সামনে এলো সালমান খানকে হত্যার হুমকি এবং হত্যাচেষ্টা নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। চলমান সিধু মুসওয়ালা হত্যাকাণ্ড তদন্ত করতে গিয়েই এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সিধু হত্যাকান্ডের একজন তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একজন বন্দুকধারীকে নিয়োগ করা হয় সালমান খানকে হত্যা করার জন্য, কিন্তু ভাগ্যক্রমে একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলিউড ভাইজান।
এই কর্মকর্তা বলেছেন, সিধু মুসওয়ালা হত্যাকাণ্ডের আসামি লরেন্স বিষ্ণয় সালমানকে হত্যা করার জন্য একজন বন্দুকধারীকে (শার্পশুটার) দায়িত্ব দেয়। হকিস্টিক রাখার কেসে একটি আগ্নেয়াস্ত্র দেয়া হয় তাকে। বন্দুকধারীকে নির্দেশ দেয়া হয় সালমানের বাড়ির বাইরে লুকিয়ে থাকার জন্য। যেনো বাইরে বের হলেই তাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু ভাগ্যক্রমে অল্পের জন্য রক্ষা পান সালমান।
সালমানকে হত্যা করার জন্য লরেন্স বিষ্ণয় আর তার সহযোগীরা অনেকদিন তার গতিবিধি যাচাই করেন। তারা জানতে পারে, অভিনেতা প্রতিদিন সকালে সাইক্লিং করতে বাইরে বের হন। তারা পরিকল্পনা করে সাইক্লিং করার সময়ই তাকে গুলি করে হত্যা করা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সবাই যার যার অবস্থানে প্রস্তুত থাকেন। কিন্তু সেদিন সালমান ঘর থেকে বের হওয়ার সময় একজন পুলিশ সহযোগী তার সঙ্গে বের হন। আর এতেই ভেস্তে যায় বিষ্ণয়দের পরিকল্পনা এবং অল্পের জন্য বেঁচে যান সালমান।
এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসায় সালমানের পুলিশি নিরাপত্ত্বা বাড়ানো হয়েছে। শুধু সালমানকে নয়, তার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের চারপাশেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তাছাড়া ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও স্থানীয় পুলিশসহ মোট ১০টি দল তদন্তে কাজ করছে। তারা এখন পর্যন্ত ২০০টিরও বেশি সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করেছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ফোন কল ও চিঠির মাধ্যমে হত্যার হুমকি পেয়েছেন সালমান। শোনা যায়, সেই সবের নেপথ্যেও ছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। সাম্প্রতিক সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডেও আততায়ী হিসেবে উঠে আসছে তারই নাম। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে সালমান খানের ওপর যোধপুরে শুটিং চলাকালে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে। সে সময় থেকে বিষ্ণই সম্প্রদায়ের শত্রু হয়ে গেছেন সালমান। কারণ কৃষ্ণসার হরিণকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র বলে গণ্য করা হয়।
হাঙ্গামা/অভিজিৎ