Omar Sani : সাইজ করা শুরু করলাম, সামনে আরও হবে
 |
| সাইজ করা শুরু করলাম, সামনে আরও হবে |
সাইজ করা শুরু করলাম, সামনে আরও হবে
জায়েদ খানকে ওমর সানীর চড় মারা নিয়ে সরগরম ঢাকাই সিনেমা অঙ্গন। গুঞ্জন উঠেছে, ভেঙ্গে যাচ্ছে তারকা দম্পতি ওমর সানী-মৌসুমীর দীর্ঘ ২৭ বছরের সংসার। গত ১০ জুন অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মৌসুমীকে অসম্মান করার অভিযোগ তুলে জায়েদ খানকে কষে চড় মারেন ওমর সানী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পকেট থেকে পিস্তল বের করে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন জায়েদ। এমন দাবীই করেছেন চিত্রনায়ক সানী।
জায়েদ খান সানীর করা সকল অভিযোগ ও ঘটনাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। এমনকি তিনি মৌসুমীকে অসম্মান ও বিরক্ত করেন না বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু ওমর সানী তার অভিযোগে অটল। তিনি দাবী করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রী অর্থাৎ চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে ডিস্টার্ব করে আসছে জায়েদ। এ অভিযোগে তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তবে ওমর সানীর এমন অভিযোগের একদম উল্টো বক্তব্য দিয়েছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। তিনি ঘটনার দুদিন পর এক অডিও বার্তায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, জায়েদ খান তাকে ডিস্টার্ব করেন নি। মৌসুমী এমন বক্তব্য দেয়ার পর ওমর সানী বলেছেন, তার অভিযোগে তিনি অটল আছেন। তিনি একটুও মিথ্যা বলছেন না। বিষয়টি তার ছেলে-মেয়েরাও জানে।
এরপর সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় ওমর সানী-মৌসুমীর ছেলে ফারদিনের সঙ্গে। তিনিও জায়েদ খানের প্রতি বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন। ফারদিন বলেছেন, "জায়েদ আম্মুকে (মৌসুমী) ডিস্টার্ব করে।" জায়েদ তাদের সংসারের বিভিন্ন রকম ক্ষতি করতে চায়। সব প্রমাণই রয়েছে কিন্তু তিনি পাবলিকলি সেটা দিতে চাননি।
এরমধ্যেই ওমর তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি ততক্ষণ পর্যন্ত নীরব থাকি, যতক্ষণ পর্যন্ত আমার আত্মসম্মানে আঘাত না লাগে।’’ ফেসবুকে দেয়া এই পোস্ট প্রসঙ্গে ওমর সানী সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘আমি স্ট্যাটাসে যা লিখেছি, দিয়েছি, সেটা মানি। আমি পেছনে কথা বলি না। অনেকেই আছেন, শত্রু-মিত্র দুই জায়গায় গিয়েই ‘ভাই, ভাই’ করেন। এই কাজ আমি করিনি। সোজাসাপটা মানুষ আমি।’’
এমন ঘটনাকে আর প্রশ্রয় দেবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার মানুষ। তাই বলে তো বেয়াদবিকে প্রশ্রয় দেব না, কখনোই না। এ ধরনের বেয়াদবিকে সাইজ করা শুরু করলাম, সামনে আরও হবে।’’
হাঙ্গামা/সানজানা
-04-04-2023.jpg)
