Jaya Ahsan : জয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ; মুখ খুললেন ফয়সাল

জয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ; মুখ খুললেন ফয়সাল
জয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ; মুখ খুললেন ফয়সাল

জয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ; মুখ খুললেন ফয়সাল


বর্তমান সময়ে দুই বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। সামাজিক মাধ্যমেও তার ভক্তের সংখ্যা আকাশচুম্বি। নেটিজেনদের চর্চায় থাকেন বরাবরই। কখন কোথায় যাচ্ছেন, কি করছেন, কেমন পোশাক পরছেন, কাকে কি বলছেন- সবই যেনো তার ভক্তদের চর্চার অনুসঙ্গ।

অভিনয় ছাড়িয়ে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই নেটাগরিকদের কৌতূহলের অন্ত নেই। পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই এ নায়িকার বর্তমানে কারো সাথে কোনো প্রেমের সম্পর্ক আছে কি না, তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। তবে জয়া আহসান যে একসময় গভীর প্রেমে ছিলেন, তা প্রায় সবারই জানা। অবশ্য এই নায়িকা এমনই একজন মানুষ যাকে ভালোবাসতে চান অনেকেই। তাদের মধ্যে বিখ্যাত ব্যক্তির তালিকাও কম দীর্ঘ নয়।

১৯৯৮ সালে কিংবদন্তী অভিনেতা আফজাল হোসেনের পরিচালনায় নির্মিত একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং সেটে জয়ার সঙ্গে দেখা হয় ফয়সাল মাসুদ আহসানের। সেই দেখাতেই ভালো লাগা, বন্ধুত্ব, প্রেম অতঃপর বিয়ে। তিনিই ছিলেন জয়ার প্রথম স্বামী। একটি সাক্ষাৎকারে প্রথম দেখার আদ্যপান্ত তুলে ধরেছিলেন ফয়সাল।

তিনি জানিয়েছিলেন, বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে জয়ার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা। সেদিন আমি সময় মতো সেটে যেতে পারিনি। মেক আপ নিয়েও একঘন্টা বসে ছিলো জয়া। আমি যাওয়া মাত্র আমার সাথে রাগারাগি শুরু করে দেয়। এরপর আমি ওজু করে ওখানে নামাজ আদায় করেছিলাম। এতে জয়া আমার উপর নমনীয় হয়।

ঐদিনের পর থেকে আমাদের নিয়মিত ফোনে কথা হত। ধীরে ধীরে আমাদের ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। তা একসময় প্রেমে রুপান্তরিত হয়। জয়াকে বিয়ের প্রস্তবটাও আমিই দিয়েছিলাম। এরপরতো সবাই জানেন। আমরা বিয়ে করে সংসার শুরু করেছিলাম। 

গভীর প্রেমে পড়েই ফয়সাল আহসানকে বিয়ে করেছিলেন জয়া। শুরতে তাদের সংসারও ছিলো সুখের। কিন্তু কেন তাদের ১৩ বছরের দাম্পত্য টিকলো না, তা আজও রহস্যে ঘেরা। অবশ্য তাদের বিচ্ছেদের পর এখনো কেউই নতুন করে সংসার পাতেননি। তবে জমিদার বাড়ির বউ হয়েও কেন ভেঙে গিয়েছিলো তাদের সাজানো সংসার, সে পর্দা ফাঁস করলেন ফয়সাল নিজেই।

ভারতের একটি পত্রিকা ফয়সালের বরাত দিয়ে জানায়, বিয়ে করে সংসার পাতলেও একসঙ্গেই শোবিজে কাজ করতেন জয়া-ফয়সাল। তারা সেসময় ছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় তারকা জুটি। কিন্তু আলাদা করে দেখতে গেলে দিন দিন ফয়সালের তুলনায় জনপ্রিয়তা বাড়ছিলো জয়ার। এতেই শুরু হয় ছন্দপতন। সেটা তাদের সুখের দাম্পত্যেও প্রভাব ফেলে।

পত্রিকাটি জানায়, জনপ্রিয়তার ব্যবধানই তাদের দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে থাকে। তাদের মধ্যে বাড়তে থাকে মনোমালিন্য। অনেক চেষ্টা করেও দুজনে নিজেদের দূরত্ব ঘোচাতে পারেননি। একসময় তারা আলাদা হয়ে যান। ২০১১ সালে পাকাপাকিভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন তারা। তবে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে জয়ার পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য মেলেনি। 

হাঙ্গামা/সানজানা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url