Barisha Haque : পুলিশের দুয়ারে বারিশ; ‘বদমেজাজ’ অ্যাডমিন গ্রেফতার

পুলিশের দুয়ারে বারিশ
পুলিশের দুয়ারে বারিশ

পুলিশের দুয়ারে বারিশ; ‘বদমেজাজ’ অ্যাডমিন গ্রেফতার


বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনের পরিচিত মুখ বারিশ হক। র‌্যাম্প মডেল হিসেবে জনপ্রিয় হলেও তিনি একাধারে ব্র্যান্ড প্রমোটার, নৃত্যশিল্পী ও উপস্থাপনার সঙ্গে জড়িত আছেন। সামাজিক মাধ্যম কেন্দ্রিক বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ট্রলের শিকার হয়েছেন এই মডেল। তার পরিবার ও অনাগত সন্তান নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য ছড়াচ্ছে একটি মহল।

এমন পরিস্থিতিতে ক্ষেপেছেন বারিশ ও তার স্বামী সীমান্ত। এতে তারা দ্বারস্থ হয়েছেন প্রশাসনের। এ প্রসঙ্গে মডেল বারিশ হক হাঙ্গামা ২৪-কে জানান, ‘‘মূলত ফেসবুক কেন্দ্রিক নানা ব্র্যান্ডের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তার, তার পরিবার এবং তার অনাগত সন্তানকে নিয়ে অত্যন্ত বাজে ভিডিও এবং স্ট্যাটাস আপলোড করছে। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বারিশ। বারিশ হকের স্বামী সীমান্ত জানিয়েছেন, তারা ৯ মে (সোমবার) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনে অভিযোগ করেছেন এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়াতে এগুচ্ছেন।  

এদিকে অভিযোগের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। ১০ মে (মঙ্গলবার) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। সে পোস্টে অভিযুক্ত ‘বদমেজাজ’ নামের একটি ফেসবুক পেজের অ্যাডমিনের একটি ছবি পোস্ট করে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতার মাধ্যমে পাবলিক নুইসেন্স সৃষ্টি করায় তাকে গ্রেফতার হয়েছে।

‘বদমেজাজ’ অ্যাডমিন গ্রেফতার
‘বদমেজাজ’ অ্যাডমিন গ্রেফতার

অই স্ট্যাটাসে আরও বলা হয়, কিছুদিন ধরে বেশ কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিমস, ট্রল এবং রোস্টের নামে অশ্লীলতা ছড়িয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে হ্যারাজ করে আসছে। ‘বদমেজাজ’ নামক একটি পেজ থেকে এ রকম পাবলিক নুইসেন্স সৃষ্টি করলে ভুক্তভোগী সিটি-সাইবার ক্রাইম ডিভিশনের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর অভিযুক্ত মো. কবির হোসেনকে (১৮) শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ঢাকার দক্ষিণ খান থানায় মামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় সহকারী পুলিশ কমিশনার, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন (ডিএমপি) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপের সঙ্গে। তিনি জানান, এ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছেন তারা। মূলত ফেসবুকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচারণাকে ঘিরে একটা দ্বন্দ্ব থেকে এই ঘটনার উৎপত্তি। যে কেউ চাইলে তার ব্রান্ডের প্রচারণার জন্য ব্র্যান্ড প্রমোটারের সহায়তা নিতে পারেন, আবার পছন্দ না হলে নাও নিতে পারেন। তাই বলে এটাকে কেন্দ্র করে এমন কোনো কাজ করা যাবে না যা একজন মানুষের সামাজিক অবস্থানকে হেয় করে, কারও ব্যক্তিগত জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়।

হাঙ্গামা/অনন্যা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url