TikTok : বাংলাদেশে টিকটকের ২৭ লাখ ভিডিও ডিলেট; কেন?

বাংলাদেশে টিকটকের ২৭ লাখ ভিডিও ডিলেট; কেন?
টিকটকের ২৭ লাখ ভিডিও ডিলেট; কেন?

বাংলাদেশে টিকটকের ২৭ লাখ ভিডিও ডিলেট; কেন?


সস্তা বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম টিকটক। মানহীন কন্টেন্টে ভরা এই অ্যাপটি বিশ্বব্যপী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সে ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও এই মাধ্যম বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশের টিএনএজারদের বড় একটি অংশ যুক্ত রয়েছে এতে। বিভিন্ন বিতর্কিত ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে বেশ কয়েক বছর ধরেই সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে টিকটকের নাম। 

টিকটক নিয়ে প্রতিনিয়তই আলোচনা হচ্ছে সমাজিক মাধ্যম ও গনমাধ্যমগুলোতে। ইতোমধ্যে সারা দুনিয়ায় ‘সামাজিক বিনোদনমাধ্যম’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মোবাইল ফোন কেন্দ্রিক এই অ্যাপটি। চীনের ঝাং ইয়েমিংয়ের হাত ধরে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে যাত্রা শুরু করে টিকটক। ২০২০ সালের শেষের দিকে সারা পৃথিবীতে সব থেকে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাপের তালিকায় উঠে আলোচনায় আসে এই মাধ্যমটি।


এমনকি সে বছর ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ ও বিভিন্ন মেসেজিং অ্যাপকে পেছনে ফেলেছিল এই টিকটক। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নিয়ে বিশ্লেষণ করা প্রতিষ্ঠান অ্যাপ অ্যানি তাদের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে। বাংলাদেশেও এই অ্যাপের ব্যবহার তুঙ্গে। এই অ্যাপের মাধ্যমে কিশোর গ্যাং, নারী পাচার, ধর্ষণ ও অশ্লীলতাসহ বেশ কিছু অপরাধ সংগঠিত হওয়ায় নরেচড়ে বসেছে বাংলাদেশের প্রশাসন। এর প্রেক্ষিতে তারা দেশের জন্য আলাদা কমিউনিটি গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে।

এবার মাত্র তিন মাসে বাংরাদেশের ২৭ লাখ ভিডিও মুছে দিয়েছে টিকটক কর্তৃপক্ষ। আর এমন তথ্যই প্রকাশ করেছে কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট। তারা জানিয়েছে, দেশের কমিউনিটি গাইডলাইন অমান্য করায় গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ২৭ লাখ ভিডিও অপসারণ করেছে টিকটক; যা অপসারণ করা ভিডিওতে বিশ্বের মধ্যে সপ্তম। এই তিন মাসে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে সাড়ে ৮ কোটি ভিডিও মুছে দিয়েছে।


তাদের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইউজাররা কমিউনিটি গাইডলাইন ভঙ্গ করে ভিডিও পোস্ট করার ২৪ ঘন্টার ভেতরেই বেশিরভাগ মুছে ফেলা হয়েছে। যার সংখ্যা ৯৪ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২১ সালে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ভিডিও ডিলিট করা হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সহিংস চরমপন্থার জন্য ১৬.২ শতাংশ, হয়রানি এবং বুলিং কনটেন্ট সরানো হয়েছে ১৪.৭ শতাংশ, ঘৃণ্য আচরণের জন্য ১০.১ শতাংশ, এবং বিপজ্জনক কাজের জন্য ৭.৭ শতাংশ কনটেন্ট অপসারণ করেছে টিকটক।

এ প্রসঙ্গে টিকটক তাদের এক বিবৃতিতে জানায়, “আমাদের অ্যাপটি বিনোদন মাধ্যম হিসেবে পরিচিত। সেভাবেই আমাদের নিয়মের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মানুষকে ইতিবাচক ডিজিটাল সংযোগ তৈরিতে সহায়তার জন্যই তৈরী করা হয়েছে। তবে যখনই আমাদের কমিউনিটি গাইডলাইন ভঙ্গ করে ভিডিও আপলোড করা হয়, তখনই আমরা ভিডিওগুলো মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।”

হাঙ্গামা/অর্নব
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url