James-Kanai : ভয়ংকর এলএসডি আসক্ত জেমস, কোকেনে পান্থ কানাই!
এলএসডি আসক্ত জেমস, কোকেনে পান্থ কানাই! |
ভয়ংকর এলএসডি আসক্ত জেমস, কোকেনে পান্থ কানাই!
বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ফারুক মহফুজ আনাম জেমস। তিনি একাধারে গায়ক-গীতিকার, গিটারিস্ট, সুরকার, অভিনেতা ও ফটোগ্রাফার। প্রত্যেকটি মাধ্যমেই তিনি রেখেছেন সফলতার স্বাক্ষর। আর তাই তাকে বলা হয় জীবন্ত কিংবদন্তী। দেশের এমন কোনো ঘর নেই যেখানে জেমসের ভক্ত পাওয়া যাবে না। এবার এই ‘নগর বাউল’খ্যাত কিংবদন্তীর বিরুদ্ধে সামনে এসেছে ভয়ংকর মাদকে আসক্ত হওয়ার তথ্য।
ভয়ংকর মাদক এলএসডি’তে আসক্ত নগর বাউল জেমস। শুধু তাই নয় দেশসেরা আরেক কন্ঠশিল্পী পান্থ কানাই, তিনিও আসক্ত কোকেনে। এমন দাবিই করেছেন আরেক বিতর্কিত কন্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। তার জীবনি বিষয়ক একটি গ্রন্থে ভয়াবহ এসব তথ্য দেয়া হয়েছে। আসিফ আকবরের বায়োগ্রাফি ‘আকবর ফিফটি নট আউট’ বইটিতে তার সংগীতা জীবনের অনেক গল্পই বলেছেন। এই বইয়ে অনেকটা গল্প বলার ছলে তিনি বলেছেন, “জেমস এলএসডিতে ও পান্থ কানাই কোকেনে আসক্ত ছিলেন।”
তবে আসিফ আকবরের ‘আকবর ফিফটি নট আউট’ শিরোনামের এই বায়োগ্রাফি বইটি তিনি নিজে লিখেননি। এটি লিখেছেন লেখক সোহেল অটল। এসব ভয়াবহ তথ্যের সত্যতা জানতে সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় সোহেল অটলের সঙ্গে। তাকে প্রশ্ন করা হয়, ‘জেমস ও পান্থ কানাই মাদাকাসক্ত ছিলেন এমনটা আসিফ বলেছেন কি না?
এর উত্তরে সোহেল অটল সংবাদমাধ্যমে বলেন, “হ্যাঁ। আসিফ ভাই এ কথা বলেছেন বলেই আমি লিখেছি। তারা মাদকাসক্ত ছিলেন। যেহেতু বইটি আমি লিখেছি আসিফ আকবর এবং সংশ্লিষ্ট সোর্সের প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতেই সব লেখা হয়েছে; যার বায়োগ্রাফি লেখা হয় তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই লেখা হয়। এখানেও তাই হয়েছে। কিন্তু আপনাদের কাছে এ তথ্য কীভাবে পৌঁছাল, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না।”
কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বায়োগ্রাফির এই বইটি এখনো বাজারে আসেনি। তবে জানা গেছে এটি শিগগিরই বাজারে আসবে। বর্তমানে এর প্রি-অর্ডার চলছে। এরমধ্যেই বইটির কয়েকটি পাতা গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। মূলত, বইয়ের ২০৪ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে সংগীতাঙ্গনের শিল্পী-কলাকুশলীদের মাদকাসক্তির কথা।
২০৪নং পাতার লেখাটা হচ্ছে, “ভয়াবহ সব ড্রাগে আসক্ত শিল্পীরা। সবাই না। তবে বেশির ভাগই। নাম বললে চাকরি থাকবে না টাইপের সংখ্যা এবং নাম। দেশসেরা রকস্টার জেমসের ড্রাগ নেওয়ার গল্প শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন আসিফ। আড্ডায় শুনেছেন, এলএসডি নামের এক ড্রাগে আসক্ত তিনি। পান্থ কানাই কোকেন আসক্ত। আরও অনেকেই। কার নাম রেখে কার নাম বলবেন? নানাবিধ সেসব ড্রাগ। কেউ আইস, ফেনসিডিল, কেউ হিরোইন-প্যাথেডিনে আসক্ত। এ ছাড়া আরও কত নাম- ডিএমটি, বেঞ্জোস, আইস, ক্রিস্টাল প্রভৃতি। এসব ড্রাগের সঙ্গে জড়িয়ে গল্প চলে সংগীতাঙ্গনের নামি-দামি সব শিল্পী-কলাকুশলীর নামে।”
এ বিষয়ে জানতে দেশের আলোচিত গণমাধ্যম ‘সময় টেলিভিশেন’র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় জেমসের মুখপাত্র রুবাইয়াত ঠাকুর রবিনের সঙ্গে। ২৪ এপ্রিল (রোববার) সকালে তিনি বলেন, “এসব বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। এগুলো একেবারেই তার মনগড়া ও ব্যক্তিগত অভিমত। আমরা উনার পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পারি।”
যোগাযোগ করা হয় কণ্ঠশিল্পী পান্থ কানাইয়ের সঙ্গেও। তিনি সময় টিভিকে বলেন, “আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কিছু খাই। কিন্তু আসক্ত এটা উনি বলতে পারেন না। আমি আসক্ত ছিলাম না। মিউজিক ছাড়া কেনো কিছুতে আমি আসক্ত না। এটাই আমার নেশা। আমি ধোয়া তুলশী পাতা না, কিন্তু আসক্তও না।”
আবার আরেক সংবাদমাধ্যম ‘আরটিভি নিউজ’কে মুঠোফোনে পান্থ কানাই বলেন, “ভাইরে, কে কী খেয়েছে আর না খেয়ে আছে, এসব নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। গানের মানুষ গান নিয়ে থাকতে চাই। আর যে (আসিফ) এই মন্তব্য করেছে, সে আমাদেরই বন্ধু। সেও তো গানের মানুষ, তারও গান নিয়েই থাকা উচিত। আপাতত এ নিয়ে আমি আর কথা বাড়াতে চাচ্ছি না।”
প্রসঙ্গত, কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবের এই ‘আকবর ফিফটি নট আউট’ বইটি প্রকাশ করছে সাহস পাবলিকেশন্স। প্রায় বিশ ফরমায় প্রকাশ হবে বইটি। এর প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর। বায়োগ্রাফিটির ইংরেজি সংস্করণ এবং অডিও সংস্করণ প্রকাশ করার পরিকল্পনাও আছে বলে জানা যায়।
হাঙ্গামা/অর্নব