শুটিং দুর্ঘটনায় মারা গেলেন সবুজ
শুটিং দুর্ঘটনায় মারা গেলেন সবুজ |
শুটিং দুর্ঘটনায় মারা গেলেন সবুজ
গত সপ্তাহে একটি নাটকের শুটিং চলছিলো। সেটি নির্মান করছিলেন আলোচিত নারী নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। এই নাটকের শুটিংয়ে লাইটম্যানের কাজ করছিলেন সবুজ নামের এক যুবক। সেদিন তিনি লাইট সেটাপ সাজাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তার শরীরের অধিকাংশই পুড়ে যায়।
সাথে সাথে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় লাইটম্যান সবুজকে। সেখানেই টানা ৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন তিনি। মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে জিততে পারলেন না তিনি। অবশেষে ১২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
তার মৃত্যুর সংবাদটি ঐ নাটকের একাধিক অভিনয়শিল্পী নিশ্চিত করেছেন। সবুজ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হওয়ার পর এই শিল্পীরাই তার দেখভাল করছিলেন। সবুজের মৃত্যুতে সামাজিক মাধ্যমে শোক জানিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু। তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, “আমাদের আলোকিত করতে গিয়ে নিজেই অন্ধকারে চলে গেলেন সবুজ। আমাদের লাইটের সবুজ।”
গত ৬ এপ্রিল ‘প্রথম প্রথম প্রেম’ শিরোনামের নাটকের শুটিং সেটে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ নাটকের পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী বলেন, “সবুজের শরীরের ৩৩ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেছেন, কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। একেবারের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু এটা। আমাদের শুটিং হাউজের কারেন্ট বন্ধ ছিল। সে (সবুজ) বোর্ড ঠিক করতে গিয়ে জাস্ট বোর্ডটা রাস্তার তারের ওপর পড়লো, আর সে গিয়ে হাতটা দিলো। সঙ্গে সঙ্গে এ দুর্ঘটনা। আমার বেশি খারাপ লাগছে তার বাবা ও মায়ের কথা ভেবে। সবুজ তাদের একমাত্র সন্তান।”
এদিকে, সবুজের এমন অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে নাটক পাড়ায়। তার মৃত্যুর খবরে কয়েকটি শুটিং ইউনিট তাৎক্ষনিক তাদের শ্যুট থামিয়ে নীরবতা পালন করে সবুজকে সম্মান জানায়। জানা যায়, ১২ এপ্রিল বিকেলের মধ্যেই লাইটম্যান সবুজের জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
হাঙ্গামা/অর্নব