Tahsan-Mithila-Faria : ইভ্যালিকাণ্ড; কি হবে তাহসান-মিথিলা-ফারিয়ার?
ইভ্যালিকাণ্ড; কি হবে তাহসান-মিথিলা-ফারিয়ার? |
ইভ্যালিকাণ্ড; কি হবে তাহসান-মিথিলা-ফারিয়ার?
গ্রাহকদের প্রতারিত করায় আইনি জটিলতায় পরে নাজেহাল প্রায় তথাকথিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল বর্তমানে আদালতের নির্দেশে কারাগারে রয়েছেন। এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে নিযুক্ত ছিলেন জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান, অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়া।
গত ৪ ডিসেম্বর ইভ্যালির প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে ধানমণ্ডি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সাদ স্যাম রহমান নামে এই প্রতিষ্ঠানের ভুক্তভোগী এক গ্রাহক। সে মামলায় তাহসান খান, অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, শবনম ফারিয়া, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় শামীমা নাসরিন ও মোহাম্মদ রাসেল জামিন না পেলেও কয়েক দফায় জামিন পেয়েছেন তাহসান-মিথিলা-ফারিয়া। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, এ মামলায় কি হবে তাহসান-মিথিলা-ফারিয়ার? এরমধ্যেই ২ মার্চ (বুধবার) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে ধানমণ্ডি থানা পুলিশ। প্রতিবেদনে পুলিশ জানিয়েছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি কর্তৃক গ্রাহককে প্রতারিত করার অভিযোগের সঙ্গে তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়ার কোনো সংশ্লিষ্টতা খুজে পাওয়া যায়নি।
আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তাই তাদের এই মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানে সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি উক্ত প্রতিবেদনে ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ইভ্যালির প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক গ্রাহকের করা মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণে তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়াসহ পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি- এমন প্রতিবেদন দিয়ে আদালতে তাদের অব্যাহতির আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
হাঙ্গামা/অর্নব