Bappi Lahiri : মৃত্যুর পর সোনা গেলো কই?
![]() |
Bappi Lahiri - বাপ্পী লাহিড়ী |
মৃত্যুর পর বাপ্পি লাহিড়ীর সোনা গেলো কই?
ভারতের সংগীতজগতের রাজপুত্র ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান এই কিংবদন্তী। এই সংগীতশিল্পী দক্ষিণ এশিয়ায় ‘গোল্ড ম্যান’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। কারণ তার শখ ছিলো স্বর্নের বিভিন্ন গহনা ব্যবহার করা। শুধু তাই নয়, তিনি সেসব গহনা কখনো হাতছাড়া করতেন না। পরম যত্নে তা সংরক্ষন করতেন। বাপ্পি নিজেই বলতেন, ‘গোল্ড ইজ মাই গড’!
বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে এই কিংবদন্তী শিল্পীর সংগ্রহে ছিলো বেশ অনেকগুলো হার, ব্রেসলেট, লকেট, আংটি। এমনকি এগুলোর সঙ্গে ছিলো সোনার পেয়ালা, জুতো, রোদচশমা, ঘড়ি, এমনকি টুপিও! অনেকের মতে তার সোনা ও রুপার মূল্য প্রায় ১ কোটি রুপি। তার মৃত্যুর পর ভক্তদের অনেকের মনেই প্রশ্ন এসেছে, কোথায় গেলো বাপ্পি লাহিড়ীর পাহাড় সমান সোনা?
এ প্রশ্নের উত্তর জানতে যোগাযোগ করা হয় তার ছেলে বাপ্পার সঙ্গে। তিনি হাঙ্গামা২৪-কে বলেন, ‘‘বাবা সোনা ছাড়া কখনও বাড়ির বাইরে পা রাখতেন না। ভোর ৫টায় ফ্লাইট ধরতে হলেও সোনার গয়না পরে বের হতেন। তাই বাবার ভক্তরা যেন সেসব সোনার গয়না আজীবন চোখে দেখতে পারেন, সে লক্ষ্যে এগুলো সংগ্রহশালায় রাখা হচ্ছে। সোনার জুতো, ঘড়ি, রোদচশমা, টুপি, গয়না দেওয়া হবে মিউজিয়ামে।’’
তিনি কেন এতো ভারী ভারী গহনা পরতেন এমন প্রশ্নের উত্তর বেচে থাকতে বাপ্পি লাহিড়ী নিজেই দিয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘‘হলিউডের বিখ্যাত গায়ক এলভিস প্রিসলিকে ফলো করতাম আমি। তিনি সবসময় গলায় সোনার হার পরতেন। আর আমি ছিলাম তার বড় ভক্ত। আমি ভাবতাম যদি কখনও সাফল হই, তাহলে আমি নিজের ইমেজ আলাদাভাবে তৈরি করবো। ভগবানের আশীর্বাদে আমি সোনা দিয়ে তা করতে পেরেছি। অনেক লোকই ভাবেন আমি লোক দেখানোর জন্য সোনার গয়না পরি। কিন্তু তা সত্যি নয়। সোনা আমার জন্য খুব পয়া (মঙ্গল)।’’
১৯৫২ সালে ভারতের জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এই কিংবদন্তী সংগীতজ্ঞ। তবে তার নাম বাপ্পি লাহিড়ী ছিলো না। বাবা-মা তার জন্মের পর নাম রেখেছিলেন অলোকেশ লাহিড়ী। কিন্তু সেই নামে পরিচিতি পাননি তিনি। তার এক আত্মীয় শখ করে বাপ্পি নামে ডাকতেন তাকে। সেই নামটিই একপর্যায়ে সংগীতের ব্র্যান্ড নেম হয়ে গেলো। এরপর থেকেই তিনি বাপ্পি লাহিড়ী নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন। ১৯৭৩ সালে হিন্দি ভাষার সিনেমা ‘নানহা শিকারি’ মুক্তি পায়। সে ছবিতেই প্রথম গান করেন বাপ্পি। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সিনেমায় গান লেখা ও মিউজিক ডিরেক্টরের কাজ করতে থাকেন।
হাঙ্গামা/অভিজিৎ