Anowara : পুরস্কার নেয়া হলো না আনোয়ারার

পুরস্কার নেয়া হলো না আনোয়ারার
পুরস্কার নেয়া হলো না আনোয়ারার

পুরস্কার নেয়া হলো না আনোয়ারার


আজ অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ৪৫তম আসর। জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে এবারের আসরে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৩ মার্চ (বুধবার) বেলা ১১টায় শেরেবাংলা নগরস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয়ীদের পুরষ্কার প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পুরষ্কার প্রদান করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এবারের আসরে ২০২০ সালের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা পুরষ্কার পাওয়ার কথা ছিলো অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ ও বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র অভিনেত্রী আনোয়ারা। এ অনুষ্ঠানে রাইসুল ইসলাম আসাদ পুরষ্কার গ্রহণ করলেও তা নিতে পারেননি আনোয়ারা। কারণ তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাসায় সজ্যাশায়ী। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জন্য তিনি চোখে দেখছেন না। এমনকি কাউকে চিনতেও পারছেন না। তাই চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে হাজির হতে পারেননি এই অভিনেত্রী।


তবে আনোয়ার পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন তার মেয়ে অভিনেত্রী রোমানা রাব্বানী মুক্তি। জানা গেছে, গত ১১ মার্চ মাঝরাতে আনোয়ারার ব্রেন স্ট্রোক হয়। এরপর দ্রুত তাকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর কিছুটা শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত দু’দিন আগে এই অভিনেত্রীকে বাসায় নেওয়া হয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েনে তার মেয়ে মুক্তি।

মুক্তি জানান, ব্রেন স্ট্রোকে আনোয়ারার দু’চোখ বেশি আক্রান্ত হয়েছে। চোখে ঝাপসা দেখছেন তিনি, এ কারণে ঠিকমতো হাঁটতেও পারছেন না। ঠিক মতো চিনতেও পারছেন না কাউকে। আনোয়ারা নিজের মেয়ে মুক্তিকেও নাকি চিনতে পারছেন না। মুক্তি সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আম্মা এখন আমার বাসায় আছেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে চোখে ঝাপসা দেখছেন। প্রথমদিকে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলেন না। তবে, আস্তে আস্তে দেখতে পাচ্ছেন। আশা করি খুব শিগগির এই সমস্যার সমাধান হবে।”

ডাক্তার বলেছেন, ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি ও দৃষ্টিশক্তির সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। তার পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে।  

হাঙ্গামা/সানজানা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url