Zayed-Sohan : জায়েদ খানের আইনি নোটিশ; পাত্তা দিচ্ছেন না বললেন সোহান

জায়েদ খান - সোহানুর রহমান সোহান
জায়েদ খান - সোহানুর রহমান সোহান

জায়েদ খানের আইনি নোটিশ; পাত্তা দিচ্ছেন না বললেন সোহান


‘শেষ হইয়াও যেন হইল না শেষ’ - কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ কথাটির মতোই যেনো হয়ে গেলো এবারের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। ভোটের ছয় দিন পাড় হলেও এখনো আপিল বিভাগের হাতে ঝুলে আছে সাধারণ সম্পাদক পদের ভাগ্য। এ ই পদের ভাগ্য নির্ধারণে দ্রুত নিষ্পত্তি চেয়ে আপিল বোর্ডের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।


আপিল বিভাগের কাছে আসা চিঠি নিয়ে এফডিসিতে বইছে উত্তেজনার হাওয়া। বৃহস্পতিবার (০৩ ফেব্রুয়ারী) দিনভর কাঞ্চন ও মিশার দুই প্যানেল থেকেই বিষয়টি নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। বিবাদমান এ বিষটির সূরাহা করতে জায়েদ খান ও নিপুণকে নিয়ে শনিবার আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের বসার কথা রয়েছে। কিন্তু আপিল বোর্ডকে মোটেও পাত্তা দিচ্ছেন না জায়েদ। আলোচনায় বসতে রাজি নন বলেও জানিয়েছেন তিনি।


জায়েদ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘আমি কেন আপিল বোর্ডের সঙ্গে বসব! কারণ, আপিল বোর্ড তো এখন বিলুপ্ত। কার্যকারিতা ২৯ তারিখেই শেষ হয়ে গেছে। সামনে কমিটির শপথ। সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। ফলাফল পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।’’ তার এমন কথার পরিপ্রেক্ষিতে সোহানুর রহমান সোহান জানালেন, শনিবারই আলোচনায় বসা হবে এবং সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।


তিনি বলেন, ‘‘জায়েদ বসতে না চাইলে আমরা আমাদের মতো সিদ্ধান্ত দিয়ে দেব। তার পক্ষেও তো ফল যেতে পারে। যদি না আসেন, অভিযোগগুলোর যুক্তিতর্কে অংশগ্রহণ নাই-ই করেন, তাহলে তার পক্ষে রায় যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সেটা আর থাকছে না।’’ এর আগে সোহান জানিয়েছিলেন, অভিযোগগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করে একটি সামারি তৈরি করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেবেন। 


এদিকে আপিল বোর্ডের শনিবারের বৈঠকে হাজির হতে জায়েদ খানকে চিঠি দিয়েছে আপিলবিভাগ। এই চিঠি পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়েছেন জায়েদ। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, আপিল বোর্ডের সঙ্গে বসবেন না তিনি। উল্টো আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আপিল বোর্ড ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ব্যারিস্টার মুজিবুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এ আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন জায়েদ খান। তিনি জানিয়েছেন, এ নোটিশটি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও আপিল বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেনকে পাঠানো হয়েছে। 


জায়েদ খান ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘‘নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টার পর থেকে আপিল বোড মৃত। একটি মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে, যার কোনো আইনগত ভিত্তিও নেই। আপিল বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সোহান ভাই কীভাবে চিঠি পাঠান? নিয়মবহির্ভূতভাবে বিষয়টি নিয়ে তৎপরতা দেখানোয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে, আমাদের সঙ্গে আলাপ না করে আপিল বোর্ডকে নির্দেশনা দেওয়ায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আইনি নোটিশ দিয়েছি।’’


এ বিষয়ে সোহানুর রহমান সোহান হাঙ্গামা২৪-কে বলেন, ‘‘মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের অর্ডারটা এভাবে এসেছে, আপনারা ব্যাপারটাকে আমলে নিয়ে আলোচনা করে তাদের উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। এবং আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য হবে।’’

প্রসঙ্গত, ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। কিন্তু এতোদিনেও থামছে না বিতর্ক বরং সাধারণ সম্পাদক পদকে কেন্দ্র করে চরমে পৌছেছে উত্তেজনা। 

হাঙ্গামা/সানজানা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url