Zayed-Nipun : জায়েদ-নিপুণ কেউই পেলেন না পদ!

জায়েদ-নিপুণ কেউই পেলেন না পদ!
জায়েদ-নিপুণ কেউই পেলেন না পদ!

জায়েদ-নিপুণ কেউই পেলেন না পদ!


১২ দিন হয়ে গেলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। কিন্তু এখনো নির্ধারন হলো না সাধারণ সম্পাদক পদের ভাগ্য। এ পদকে ঘিরে দেয়া হচ্ছে একের পর এক সিদ্ধান্ত। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিপুণের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন চেম্বার আদালত। 

শিল্পী সমিতির আরোচিত এ পদের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন চেম্বার আদালত। জানানো হয়েছে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি (রোববার) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এ সময়ের ভেতর জায়েদ কিংবা নিপুণ কেউই বসতে পারবেন না সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার। চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের ৮ ফেব্রুয়ারি করা আপিলের শুনানি নিয়ে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন। ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান। আর জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করবেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি।

এর আগে ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ২৮ জানুয়ারির চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন নিয়ে। সেদিন জায়েদের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে জয়ী ঘোষণা করে। এরপর সাংবাদিক সম্মেলনে জায়েদের বিরুদ্ধে ভোট কেনাসহ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। 

তার অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল এবং নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করেন। এর জেরে আপিল বোর্ডকে অবৈধ দাবি করে হাইকোর্টের দারস্থ হন জায়েদ খান। আদালতে নিজের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেন তিনি।

৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গঠিত আপিল বোর্ডের রায় স্থগিত করা হয় এবং নিপুণের পদ বাতিল হয়। এরপর হাইকোর্টের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের দারস্থ হন চিত্রনায়িকা নিপুন। তার সে আপিলের প্রেক্ষিতেই চেম্বার আদালত শুনানির নতুন দিন ধার্য করে এ পদের উপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন। এখন শুধু অপেক্ষার পালা ‘কি সিদ্ধান্ত আসবে ১৩ ফেব্রুয়ারি!’

হাঙ্গামা/সানজানা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url