Zayed-Nipun : নিপুণের বিরুদ্ধে নতুন লড়াইয়ে নেমেছেন জায়েদ

নিপুণের বিরুদ্ধে নতুন লড়াইয়ে নেমেছেন জায়েদ
নিপুণের বিরুদ্ধে নতুন লড়াইয়ে নেমেছেন জায়েদ

নিপুণের বিরুদ্ধে নতুন লড়াইয়ে নেমেছেন জায়েদ


বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নাটকীয়তার যেনো শেষই হচ্ছে না। এই পদের ভাগ্য এখন আদালতের হাতে। সাথে ঝুলে আছে দুই দাবিদার জায়েদ খান ও চিত্রনায়িকা নিপুণের ভাগ্যও। ১৫ ফেব্রুয়ারির শুনানিতে আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

এর মধ্যেই মামলা থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি পেয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।  আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) বিকেলে এফডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ অভিযোগ করেন তিনি। এই হুমকির জেরে রাজধানীর বনানী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। যার নাম্বার - ৮২৯।

পদ নিয়ে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারের চলমান আইনি লড়াইয়ের মধ্যেই নতুন লড়াইয়ে নেমেছেন জায়েদ। নিপুণের নামে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলের সংবাদ সম্মেলনে নিপুণ বলেছিলেন ‘আদালতের নির্দেশ মতে তিনিই সমিতির সাধারণ সম্পাদক রয়ে গেছেন এবং শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন।’

নিপুণের এমন মন্তব্যের জেরেই ‘বিষয়টি সঠিক নয়’ বলে দাবি করেছেন জায়েদ খান। আর তাই বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তার আইনজীবী মো. আব্দুল কাইয়ুমের মাধ্যমে আইনি নোটিশটি পাঠিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জায়েদের আইনজীবী সংবাদমাধ্যমে বলেন, “চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত যে স্থিতাবস্থা জারি করেছিলেন, নিপুণ আক্তার সে আদেশ মানছেন না। তিনি গতকাল (মঙ্গলবার) যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আদালত অবমাননার শামিল! তাই তাকে সতর্ক করে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি তিনি ওই পদে বসেন তবে আমরা আদালত অবমাননার মামলা করবো।”

চিত্রনায়িকা নিপুণকে পাঠনো সে নোটিশে বলা হয়েছে, “চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন আপিল বিভাগ। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে আপাতত পদটি শূন্য থাকবে। যতদিন না আমার মক্কেলের (জায়েদ খান) করা রুলের নিষ্পত্তি হবে। কিন্তু তার আগেই নিপুণ নিজেকে সাধারণ সম্পাদক দাবি করে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, যা আদালত অবমাননার সামিল।”

উল্লেখ্য, টাকার বিনিময়ে ভোট কেনার অভিযোগ ওঠে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নির্বাচনের আপিল বিভাগ জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল করে। এরপর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদালত। এর জেরে নিপুণ আপিল করলে চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে এবং সাধারণ সম্পাদক পদের স্থিতাবস্থা জারি করে। 

১৪ ফেব্রুয়ারির (সোমবার) শুনানিতে চেম্বার আদালতের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পাশাপাশি এ বিষয়ে জারি করা রুলের নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। এই আদেশের পর ১৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, এ মর্মে জারি করা রুল শুনানির জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।

হাঙ্গামা/সানজানা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url