Zayed Khan : বাতিল হচ্ছে জায়েদ খানের পদ!

বাতিল হচ্ছে জায়েদ খানের পদ!
বাতিল হচ্ছে জায়েদ খানের পদ!

বাতিল হচ্ছে জায়েদ খানের পদ!


নির্বাচন আর বিতর্ক যেনো এক মূদ্রার এপিঠ ওপিঠ। জাতীয় নির্বাচন থেকে ইউপি নির্বাচন, সবক্ষেত্রে দেখা গেছে এমন চিত্র। তবে এবার সে চিত্রের দেখা মিললো ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি’র নির্বাচনেও। ভোটের এক মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ। সে সব বিতর্ক ভোটের দিনই শেষ হলেও পারতো। কিন্তু তা হয়নি।

শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনকে ঘিরে জল কম ঘোলা হয়নি। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে। এবার সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন জায়েদ খান ও নিপুণ। ভোটের দিন মিশা-জায়েদ প্যানেলের জায়েদ খান ও চুন্নুর লেনদেন সম্পর্কিত কিছু ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় সে বিতর্কের আগুনে ঘি পড়েছে। 


জায়েদ খান টানা তৃতীয়বার নির্বাচন করেছেন সাধারণ সম্পাদক পদে। এবার চিত্রনায়িকা নিপুণকে ১৬৩ ভোটে হারিয়ে তিনি জয়ী হয়েছিলেন ১৭৬ ভোটে। কিন্তু তার এ জয় নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারন ভোটের দিনই জায়েদ খানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তুলেছিলেন নিপুণ। সে অভিযোগ রয়েছে মিশা জায়েদ প্যানেলের ফাইটার চুন্নুর বিরুদ্ধেও।

নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আরও কিছু অভিযোগ তুলেছেন আলোচিত এই চিত্রনায়িকা। সম্মেলনে সরাসরি আঙুল তোলেন এফডিসির প্রসাশন ও নির্বাচন কমিশনের দিকে। বলেন, ‘তারা একটি চক্র। জায়েদ খানের চক্র।’ নিপুণ মনে করেন, এ চক্রটি তাকে হারিয়েছে। সেদিন তিনি জায়েদ খানের কিছু স্কৃনশটও ফাঁস করেন।


এরপর নোট দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তুলে জায়েদ খান ও ফাইটার চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন নিপুণ। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের দিকনির্দেশনা চেয়েছেন সোহান। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে এই নির্দেশনা চান তিনি।

এ নিয়েই বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে বেশ সরব রয়েছে বিএফডিসি। শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। এফডিসিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, বাতিল হতে পারে জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদক পদ!


বিষয়টি নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতরের তথ্য অধিকার শাখার উপপরিচালক রকিব আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, ‘১৯৬১ সালের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৬১-তে বলা আছে, আমাদের নিবন্ধিত কোনো সংস্থা বা সংগঠনের নির্বাচনে তদন্তপূর্বক অনিয়ম পায় তাহলে কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের ব্যবস্থা আছে। আমরা গঠনতন্ত্রকে বাইবেল হিসেবে ধরি। গঠনতন্ত্রে যদি আমরা সমাধান না পাই সেক্ষেত্রে আইনের কাছে যাই, দেখি যে আইনে কি বলা আছে।’

অন্যদিকে বিতর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন বলছেন, ‘যেহেতু সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে সেহেতু ক্ষমতা এখনি বুঝিয়ে দেয়া যাবে না। এতে একটু সময় লাগবেই।’


অপরদিকে জায়েদ খান ক্ষমতা বুঝে নিয়েছেন উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমাদের সমিতির গঠনতন্ত্রে শপথ গ্রহণের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আনুষ্ঠানিকতা হলো বিদায়ী কমিটি নতুন কমিটিকে ক্ষমতা বুঝিয়ে দেবে। যেমন- সেক্রেটারি নতুন সেক্রেটারিকে বুঝিয়ে দেবে। যেহেতু আমি নিজেই সেক্রেটারি ছিলাম, তাই আমি আমারটা বুঝে নিয়েছি।’

জানা গেছে, ৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) দায়িত্ব বুঝে নেবে শিল্পী সমিতির নতুন কমিটি। তবে সাধারণ সম্পাদক পদের ক্ষেত্রে কী হতে পাবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামীকাল পর্যন্ত। এদিন জায়েদ খানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চিত্রনায়িকা নিপুণের অভিযোগ সত্য প্রমাণ হলে ‘প্রশাসক’ বসানো হতে পারে শিল্পী সমিতিতে।

হাঙ্গামা/সানজানা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url