Rehnuma Mostafa : কে এই রেহনুমা?
Rehnuma Mostafa - রেহনুমা মোস্তফা |
কে এই রেহনুমা?
আগামী ৮ মার্চ সারা দেশব্যাপি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ঢালিউডের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘লকডাউন লাভস্টোরি’। যা নির্মাণ করা হয়েছে মহামারি করোনায় মানুষের জীবন ও চারপাশের গল্পকে পুজি করে। এ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনে চলচ্চিত্রটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
‘লকডাউন লাভস্টোরি’ শিরোনামের এই সিনেমায় প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক মামনুন ইমন ও তার বিপরীতে নবাগতা রেহনুমা মোস্তফা। প্রদর্শনীর পর থেকেই দর্শকদের ভেতর প্রশ্ন জাগে কে এই রেহনুমা মোস্তফা? যাকে এর আগে কখনো ঢালিউডের পর্দায় দেখা যায় নি।
এর আগে বাংলাভিশন নামের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সংবাদ পাঠিকা থেকে ঢালিউডের চিত্রনায়িকা হয়েছেন শবনম বুবলী। তার মতোই রেহনুমাও দীর্ঘ ৯ বছর ধরে সংবাদ পাঠিকা হিসেবেই কাজ করছেন। অবাক করা ব্যাপার হলো তারা দুজন একই চ্যানেলে কাজ করতেন। সংবাদ পাঠের পাশাপাশি অভিনয়কেও খুব ভালোবাসেন রেহনুমা মোস্তফা। আর তাই এর আগে বেশ কিছু নাটকেও অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। সে ধারাবাহিকতায়ই এবার বড় পর্দায় আসছেন তিনি।
পৈত্রিক ভিটাবাড়ি ফেনীতে হলেও রেহনুমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাজধানী ঢাকার পান্থপথে। শিক্ষাজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ এবং এমফিল ডিগ্রি শেষ করেছেন তিনি। বর্তমানে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় উচ্চতর গবেষণা করছেন বলেও জানিয়েছেন নবাগত এই নায়িকা। তিনি জানালেন তার বাবা নুরুল মোস্তফা একজন পেশাদার আইনজীবী। তার পরিবারের কেউই কখনো বিনোদন মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু এ অঙ্গনের প্রতি তার টান অনেক আগে থেকেই। তাই একটা সময় শাস্ত্রীয় নৃত্যের ওপর ডিপ্লোমাও করেছেন এই সংবাদ পাঠিকা।
বড় পর্দায় অভিষেক প্রসঙ্গে রেহনুমা বলেন, “অভিনয়ের নেশা আমার বহুদিনের। এই অঙ্গনে কাজ করতে খুবই আনন্দ পাচ্ছি। ইচ্ছা আছে, ভালো ভালো গল্পে নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা। যে সিনেমাটার মাধ্যমে আমি বড় পর্দায় সুযোগ পেলাম সেটি করোনাকালে মানুষের জীবন ও পরিবেশকে নিয়ে তৈরি হয়েছে। আমি সেটির অংশ হতে পেরেছি, এটা নিঃসন্দেহে ভালো লাগার। আমার জীবনে এই সিনেমা অবিস্মরনীয় হয়ে থাকবে।”
রেহনুমাকে কেন নায়িকা হিসেবে নির্বাচন করলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল বলেন, “ছবিটির গল্প এবং চিত্রনাট্য যখন লেখা শেষ হয়, তখন আমি এই সিনেমার জন্য একেবারে নতুন একটা মুখ খুঁজছিলাম। খুঁজতে খুঁজতে এক দিন রেহনুমাকে পেয়ে গেলাম। তিনি আমার সিনেমার চরিত্রটির সার্থক রূপায়ণ করেছেন। সময়োপযোগী একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের চেষ্টা করেছি। প্রিমিয়ারে অতিথিরা ছবিটি দেখে তাদের ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন। এটা আমাকে সাহস দিয়েছে, অনুপ্রাণিত করেছে।”
হাঙ্গামা/সানজানা