Prabir Mitra : হাসপাতালে ভর্তি প্রবীর মিত্র

হাসপাতালে ভর্তি প্রবীর মিত্র
হাসপাতালে ভর্তি প্রবীর মিত্র

হাসপাতালে ভর্তি প্রবীর মিত্র


বাংলাদেশের সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা প্রবীর মিত্র। বেশ ক বছর ধরেই শরীরিক অসুস্থতার সঙ্গে লড়ছেন এই অভিনেতা। গত নভেম্বরে জানা গিয়েছিলো, হাঁটুতে প্রচন্ড ব্যথার কারণে ঠিকমতো হাটতে পারছেন না এই প্রবীন  অভিনেতা। এমনকি কানেও তেমন শুনতে পাননা তিনি। কাছে গিয়ে জোর গলায় বললে কিছুটা শুনতে পান এই অভিনেতা। এছাড়াও রয়েছে বার্ধক্যজনিত বেশ কিছু শারিরিক সমস্যা।

সম্প্রতি ভারতের দিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন গুণী এই শিল্পী। সেখানকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে প্রবীর মিত্রকে। খবরটি সংবাদমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন তার পুত্রবধূ সোনিয়া ইয়াসমিন। দিল্লি থেকে তিনি জানিয়েছেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয় প্রবীর মিত্রকে। সেখানে তার কিছু আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন। মূলত নিয়মিত শারীরিক চেকআপের জন্য প্রতিবেশী দেশে গেছেন অভিনেতা। পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনদের সাথেও দেখা করবেন বলে জানা গেছে।

প্রবীর মিত্রের পুত্রবধূ সোনিয়া ইয়াসমিন বলেন, “আব্বার বোন এবং পরিবারের অনেক সদস্যরাই ভারতে থাকেন। তাদের সঙ্গে দেখা এবং শারীরিক চেক-আপের জন্য তিনি দিল্লি একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর আগে থেকেই আব্বার হাঁটুতে ব্যথা রয়েছে। তবে তেমন কোনো জটিল সমস্যা হয়নি। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।”

লাইট-ক্যামেরা-একশনের দুনিয়ার মাধ্যমে যশ, খ্যাতি অর্জন করলেও এখন সিনেমার প্রতি কোনো আগ্রহই নেই প্রবীর মিত্রের। বিভিন্ন কারণে তিনি অনেকদিন ধরে রূপালি জগত থেকে দূরে আছেন। সিনেমা নিয়ে কথা বলা তো দূরের কথা, ঘরে বসে টেলিভিশনও দেখেন না এই প্রবীন অভিনেতা। এমনকি ঘরের সদস্যদেরও নিষেধ করে দিয়েছেন, যেন তার সঙ্গে সিনেমা নিয়ে কোনো কথা না বলে। 

উল্লেখ্য, ১৯৪০ সালের ১৮ আগস্ট চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রবীর মিত্র। তবে ছোট থেকে বেড়ে ওঠেন রাজধানী ঢাকায়। অভিনয় জীবন শুরু করেন ‘লালকুটি’ থিয়েটারে অভিনয়ের মাধ্যমে। অভিনয়ের প্রতি অঘাত ভালোবাসা থেকেই এ পেশাকে বেছে নেন তিনি। ১৯৬৯ সালে ‘জলছবি’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক হয় এই অভিনেতার। এরপর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বহু নন্দিত ও কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ২০১৯ সালে আজীবন সম্মাননা বিভাগে ৪৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন প্রবীর মিত্র।

বরেণ্য এই অভিনেতার খেলাধুলার প্রতিও ছিলো বিশেষ ঝোক। ষাটের দশকে ঢাকা ফার্স্ট ডিভিশনে খেলেছেন ক্রিকেট। ছিলেন সে দলেন অধিনায়কও। একই সময়ে ফায়ার সার্ভিসের হয়ে খেলেছেন ফার্স্ট ডিভিশন হকি। এছাড়া কামাল স্পোর্টিংয়ের হয়ে নিয়মিত খেলতেন সেকেন্ড ডিভিশন ফুটবল।

হাঙ্গামা/প্রিয়াঙ্কা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url