Nipun-Zayed : নিপুণ খুশি; জায়েদ বললেন ‘এসবের ভিত্তি নেই’

নিপুণ খুশি; জায়েদ বললেন ‘এসবের ভিত্তি নেই’
নিপুণ খুশি; জায়েদ বললেন ‘এসবের ভিত্তি নেই’

নিপুণ খুশি; জায়েদ বললেন ‘এসবের ভিত্তি নেই’


গত ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন শেষ হলেও সাধারণ সম্পাদক পদের কোনো সুরাহা হয়নি এখনো। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে ঝুলে আছে সমিতির অন্যতম এ পদটি। বিদ্যমান এ সংকট নিয়ে বিএফডিসিতে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। মাত্র ১৩ ভোটে হেরে গিয়ে যেনো আদাজল খেয়ে নেমেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। অন্যদিকে চেয়ার আকড়ে ধরে আছেন জায়েদ খান।

নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ তুলে ধরা হয় জায়েদ খানের বিরুদ্ধে। এমনকি ভোটের মাঠেও তার বিরুদ্ধে নোট দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তুলেছিলেন নিপুন। এরপর সেই একই অভিযোগে মিশা জায়েদ প্যানেলের জায়েদ খান ও ফাইটার চুন্নুর প্রার্থিতার ফল বাতিল চেয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন এই নায়িকা।


তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের একটি আবেদন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় হয়ে একটি চিঠি পুনরায় আপিল বিভাগের কাছে দিকনির্দেশনার জন্য আসে। সে চিঠিতে জায়েদ খান ও চুন্নুর প্রার্থিতার ফল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে আপিল বিভাগের চেয়ারম্যানের ওপর সর্বচ্চো ক্ষমতা দেওয়া হয়। 

জানা গেছে এ বিষয়ে সুরাহার জন্য শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বসার কথা রয়েছে। শোনা গেছে বাদী ও বিবাদী উভয়কে নিয়েই এদিন বিকালে বিএফডিসিতে বসবেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহান। চিঠির প্রসঙ্গে সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘‘বিষয়টির সুরাহা করতে মন্ত্রণালয় আমার ওপর সর্বময় ক্ষমতা দিয়েছে। শনিবার দুই পক্ষের সঙ্গে বসব। অভিযোগগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করে একটি সামারি তৈরি করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব।’’


তবে এতে নারাজ জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘‘এসব চিঠির কোনো ভিত্তি নেই। নির্বাচন শেষ। ২৯ জানুয়ারি করা আপিলের নিষ্পত্তি ও চূড়ান্ত রায় নিপুণরা সবাই মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরের কাগজ আমার কাছে আছে। এরপর নির্বাচন কমিশন ও আপিল বোর্ডের আর কোনো কার্যকারিতা নেই।’’

জায়েদ খান উল্টো আপিল বোর্ডের উপর পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘‘নির্ধারিত সময়ের পরেও নির্বাচন কমিশনার বরাবর আবেদন করলে সেটি আপিল বিভাগ মন্ত্রণালয়ে কীভাবে পাঠায়? এসব চিঠির কোনো ভিত্তি নেই। ফলাফল পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এরপরও বাদীর কিছু বলার থাকলে মহামান্য কোর্টে গিয়ে বলতে পারেন।’’


তবে কি আপিল বোর্ডের মধ্যস্থতায় শনিবার বসছেন না জায়েদ খান? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘আমি কেন আপিল বোর্ডের সঙ্গে বসব। কারণ, আপিল বোর্ড তো এখন বিলুপ্ত। কার্যকারিতা ২৯ তারিখেই শেষ হয়ে গেছে। সামনে কমিটির শপথ। সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।’’

তবে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে বেশ খুশি রয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন,  ‘‘নির্বাচন কমিশন আমাদের অভিযোগগুলো আমলেই নেয়নি। বাধ্য হয়েই আমরা মন্ত্রণালয়ে গিয়েছি। ডকুমেন্টসহ যে অভিযোগগুলো আমরা দিয়েছিলাম, তাতে পুরো নির্বাচনের ফলই বাতিল হওয়ার কথা বলেছিল মন্ত্রণালয়। কিন্তু আমরা বলেছি— যে দুই পদ নিয়ে অভিযোগ, ওই দুই পদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। পরে অভিযোগের ডকুমেন্টগুলো দেখে ওই দুজনের ব্যাপারে আপিল বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।’’


এবছরের শিল্পী সমিতির নির্বাচন যেন কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই উক্তির মতো হয়ে গেল - ‘শেষ হইয়াও যেন হইল না শেষ।’ ভোটের ছয় দিন কেটে গেছে। কিন্তু ফলাফল এখন বিবাদমান। আপিল বিভাগে ঝুলছে সাধারণ সম্পাদক পদের ভাগ্য। এখন অপেক্ষা শনিবারের। দেখা যায় অবশেষে শিল্পী সমিতির জল কোথায় গিয়ে গড়ায়।

হাঙ্গামা/সানজানা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url