Lata Mangeshkar : কেনো বিয়ে করেননি লতা মঙ্গেশকর

কেনো বিয়ে করেননি লতা মঙ্গেশকর
কেনো বিয়ে করেননি লতা মঙ্গেশকর

কেনো বিয়ে করেননি লতা মঙ্গেশকর


দক্ষিণ এশিয়ার কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের জীবন প্রদীপ নিভে গেছে। টানা ২৬ দিন হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে হেরে গেছেন এই সঙ্গীতসম্রাজ্ঞী। মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১১ জানুয়ারি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এরপর আক্রান্ত হন নিউমোনিয়ায়। প্রথম থেকেই তাকে রাখা হয়েছিলো আইসিইউতে। পরে ৩০ জানুয়ারি কোভিড রিপোর্ট নেহেটিভ আসলেও বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় শেষ পর্যন্ত আর লড়তে পারলেন না। কোটি কোটি ভক্তকে কান্নার সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলেন কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকর।

কোকিলকণ্ঠী এই সংঙ্গীতসম্রাজ্ঞীর চিরপ্রস্থানে উপমহাদেশের সংগীতের ইতিহাসে একটি সুরেলা অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো। তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেও তার গান মানুষের হৃদয়ে বেচে থাকবে অনন্তকাল। 

লতা মঙ্গেশকর তার দীর্ঘ ৯২ বছরের জীবনের ভাগ কাউকেই দেননি। বিয়ের গন্ডিতে আবদ্ধ না হয়ে থেকে গেছেন চিরকুমারী। তার মতো এমন একজন সফল ব্যক্তিত্ব কেন কাউকে জীবনসঙ্গী করলেন না, সে প্রশ্নটি সবারই। তবে শোন যায়, এই সংগীততজ্ঞ প্রেমে সফল না হওয়ায় আর কাউকে বিয়েই করেন নি।

শোনা যায় রাজস্থানের (তৎকালীন রাজপুতনা) দুঙ্গরপুরের রাজ ঘরানার মহারাজ রাজ সিং-এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন লতা মুঙ্গেশকর। রাজ সিং ছিলেন তার বড় ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। কিন্তু তার সেই ভালোবাসা পূর্ণতা পায়নি। লতার থেকে ৬ বছরের বড় রাজ সিং তাকে আদর করে মিট্টু বলে ডাকতেন। পকেটে সবসময় একটি রেকর্ডার নিয়ে ঘুরতেন রাজ। সেই রেকর্ডারের মধ্যে থাকতো লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া বিখ্যাত কিছু গান। কিন্তু রাজ পরিবারের ছেলে রাজ সিং তার বাবা-মায়ের কাছে বাধ্য হয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, কোনো সাধারণ পরিবারের মেয়েকে রাজবংশের বউ করবেন না। সেই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করতে গিয়েই মিলন হলোনা রাজ ও লতার। ২০০৯ সালে মারা যান রাজ সিং। তবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনিও লতার মতোই চিরকুমার ছিলেন। ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করতে না পেরে দুজনই থেকে গেছেন একা।

তবে চিরকুমারী থাকার কারণ হিসেবে রাজ সিংয়ের সাথে প্রেমের বিষয়টি সামনে আনা হলেও লতা মঙ্গেশকর ছিলেন বরাবরই চুপ। উল্টো তিনি দাবি করতেন, সংসারের দায়িত্ব কাঁধে থাকার কারণেই নিজেকে নিয়ে কোনোদিন আলাদা করে ভাবার সুযোগ পাননি তিনি।

লতার বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরও ছিলেন একজন সংগীত আচার্য। তিনি মারা যান মাত্র ৪২ বছর বয়সে। তার মৃত্যুর পর চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েন লতার মা, কে ধরবে সংসারের হাল? শেষ পর্যন্ত দায়িত্বটা কাঁধে এসে পড়ে ১২ বছরের মেয়ে লতার। বাবার মৃত্যুর মাত্র সাতদিন পরই শোক লুকিয়ে ‘প্যাহলি মঙ্গলাগাঁও’ ছবির শুটিংয়ে যান তিনি। মারাঠি এ সিনেমাতে অভিনয় করে আর গান গেওয়ার মাধ্যমে তিনি শুধু ক্যারিয়ার শুরু করেন নি, পাশাপাশি জীবন সংগ্রামটাও শুরু করেছিলেন কিংবদন্তি এই শিল্পী।

হাঙ্গামা/প্রিয়াঙ্কা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url