Lata Mangeshkar : মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছিলেন লতা

মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছিলেন লতা
মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছিলেন লতা

মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছিলেন লতা


১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম হয় বাংলাদেশের। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত, ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম ও বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের অন্যতম অবদানের বিনিময়ে স্বাধীন হয় সোনার বাংলাদেশ। অন্যান্য দেশের মধ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবদান চিরস্মরণীয়। সেসময় শুধু দেশটির সরকার নয়, সেখানকার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও বিভিন্নভাবে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের জন্য।

সংগীতশিল্পীরাও বিভিন্ন কনসার্টে গান গেয়ে অর্থ সহায়তা জোগাড় করে পাশে দাড়িয়েছেন যুদ্ধাক্রান্ত বাংলাদেশের পাশে। আশা ভোঁসলে, কিশোর কুমার, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মোহাম্মদ রফি, মান্না দে, সলিল চৌধুরীরা বাংলাদেশের জন্য গান করেছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকরও।

শুধু তাই নয়, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশেও এসেছিলেন লতা। সেই স্মৃতি তিনি নিজেই চারণ করেছিলেন। ২০১৯ সালে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে একটি টুইটে লতা মুঙ্গেশকর বলেন, “নমস্কার। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শেষ হতেই আমি সুনীল দত্তের গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশ গিয়ে অনেক কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলাম। সে সময়ে সেনাবাহিনীর উড়োজাহাজে করে সব জায়গায় গিয়েছিলাম।”

কিংবদন্তী এই শিল্পীর সেই টুইটে একটি ছবিও পোস্ট করা হয়েছিলো। সেখানে দখো যায়, তিনি সেনাবাহিনীর টুপি পরে বিমানের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) তার প্রয়াণের দিনে সেই স্মৃতি ভেসে উঠেছে অন্তর্জালের পাতায়। জানা যায়, বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন স্থানে গান পরিবেশন করেছিলেন ভারতের এই নাইটিঙ্গেল।

বাংলাদেশের সিনেমার জন্যও গান গেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। ১৯৭২ সালে মুক্তি পাওয়া মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমাটির নাম ‘রক্তাক্ত বাংলা’। মমতাজ আলী পরিচালিত এই সিনেমায় লতার কণ্ঠে ‘ও দাদাভাই’ গানটি শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছিল। এরপরে অবশ্য কখনোই আর এ দেশের গানে লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠ পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ার সংগীতের প্রবীণ মহাতারকা লতা মঙ্গেশকর (৬ ফেব্রুয়ারি) পৃথিবী মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। প্রায় চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১১ জানুয়ারি তাকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও বাঁচানো গেলোনা তাকে। বয়সজনিত নানা সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত আর লড়তে পারলেন না তিনি।

১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর লতার জন্ম এক মারাঠি পরিবারে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারান। তার আগে অবশ্য বাবার হাত ধরেই অভিনয় এবং গান শিখতে শুরু করে দিয়েছিলেন। ১৩-১৪ বছর বয়সেই প্রথম বার মারাঠি সিনেমায় গান গাওয়া শুরু করেন লতা।

হাঙ্গামা/প্রিয়াঙ্কা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url