Kangana Ranaut : হিজাব নিয়ে এ কি বললেন কঙ্গনা!

হিজাব আন্দোলন নিয়ে এ কি বললেন কঙ্গনা!
হিজাব নিয়ে এ কি বললেন কঙ্গনা!

হিজাব আন্দোলন নিয়ে এ কি বললেন কঙ্গনা!


ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। ভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে হয়েছেন প্রশংসিত। ঠিক তেমনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে মন্তব্য করে রয়েছেন বিতর্কের শীর্ষে। বিতর্ক আর কঙ্গনা যেনো একে অপরের সঙ্গী। এ কারনে অনেকেই তাকে ‘কন্টোভার্সি কুইন’ অথবা ‘বিতর্কের রানী’ বলে ডাকেন। এবার চলমান হিজাব আন্দোলনের ইস্যু নিয়ে কথা বললেন এই নায়িকা।


বলে রাখা ভালো, ভারতের কর্ণাটক হিন্দু মৌলবাদি রাজনৈতিক দল বিজেপি শাসিত রাজ্য। এখানে মুসলিম নারীদের হিজাব ও বোরকা পরা নিয়ে বহুদিন ধরেই জটিলতা চলছে। এমনকি এ বিষয় বিভিন্ন সময় বিভিন্নজন আদালতের দারস্ত হয়েছেন। সম্প্রতি হিজাব পরার কারণে ক্লাসে নিষিদ্ধ করা হয় কয়েকজন ছাত্রিকে। এর মধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। 


যেখানে দেখা যায়, এক ছাত্রী বোরকা হিজাব পরে কলেজে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে বাঁধা দিচ্ছিল বিজেপির একদল যুব সমর্থক। এসময় তারা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষুব্ধ পরিবেশ তৈরি করে। তাদের সামনে প্রতিবাদ জানিয়ে ওই তরুণীও ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দেন। এই ঘটনায় ভারত ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা হয় ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এর সাথে শুরু হয় মুসলিমদের হিজাব আন্দোলন। 


এই ইস্যু নিয়ে বর্তমানে উত্তাল সামাজিক মাধ্যম। ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই নিয়মের বিরুদ্ধে একে একে অনেকেই মুখ খুলছেন। তবে কঙ্গনা রানাওয়াত বারবরের মতো এবারো হেঁটেছেন উল্টো পথে। ইনস্টাগ্রামে দেয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘যদি সত্যিই সাহস দেখাতে হয়, তাহলে আফগানিস্তানে গিয়ে বোরখা পরবেন না! স্বাধীনভাবে থাকতে শিখুন, খাঁচায় নিজেকে বন্ধ করে রাখবেন না।’’


কঙ্গনার এমন মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক চলছে সামাজিক মাধ্যমে। নেটিজেনদের মতে, হিজাব ইস্যুতে তার মন্তব্য একপাক্ষিক। তিনি বরাবরই রাষ্ট্রের হয়ে কথা বলেন। দেশের যে কোনও ঘটনায় তার মন্তব্যে গেরুয়া শিবিরের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। নেটিজেনদের অনেকে দাবি করছেন, কঙ্গনা হয়তো উগ্র ধর্মাবলম্বি সংগঠন আরএসএস'র বড় কোনো পদে আছেন। নয়তো বিজেপি থেকে ভোটের টিকিট চাচ্ছেন তিনি।


তার ইনস্টাগ্রামে সে পোস্টে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী শাবানা আজমি। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি যত দূর জানি, আফগানিস্তান ধর্মভিত্তিক দেশ। আর ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, তাই তো?’’ এই কমেন্টের মাধ্যমে তিনি কঙ্গনাকে বুঝিয়ে দিলেন ভারত সব ধর্মের মানুষের দেশ। এখানে সবার স্বাধীনতাই সমান।

প্রসঙ্গত, এর আগেও ভারতের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা। তখন তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও দেয়া হয়েছিলো। তাছারা মুম্বাই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা প্রীতি মেনন।

হাঙ্গামা/অভিজিৎ
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url