‘বাচ্চার কসম, আপনি কত টাকা খাইছেন’

‘বাচ্চার কসম, আপনি কত টাকা খাইছেন’
‘বাচ্চার কসম, আপনি কত টাকা খাইছেন’

‘বাচ্চার কসম, আপনি কত টাকা খাইছেন’


বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে জটিলতা কোনোভাবেই কমছে না। দিন যাচ্ছে, আর এ জটিলতা যেনো আরো দীর্ঘ হচ্ছে। ভোটাভুটির ৭ দিনের মাথায় আপিল বিভাগের ঘোষণায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদন্ধিতায় জয়ী হয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। কারন প্রতিদন্ধি প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে।

শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচন ঘিরে গঠিত আপিল বোর্ড  বৈঠক শেষে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিপুণের নাম ঘোষণা করা হয়। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান এই ঘোষণা দেন। তবে পূর্বনির্ধারিত এই বৈঠকে জায়েদ খান উপস্থিত ছিলেন না।

আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত ঘোষণা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সোহানুর রহমান সোহান। তিনি বলেন, "বৈঠকে না আসা, অফিস বন্ধ রাখা; এতে কি মনে হয় না জায়েদ অপরাধবোধ (গিল্টি) করছে? এ কারণেই সে মিটিংয়ে আসেনি।"

এই নির্বাচনে দুই প্যানেলের কারো পক্ষ থেকে কোনো চাপ ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বরেণ্য এই নির্মাতা বলেন, "না, কারো পক্ষ থেকেই কোনো চাপ (প্রেশার) আসেনি। একদিন শুধু জায়েদ আমাকে এখানে এসে বলেছিল, আমি আপনার ছোট ভাইয়ের মতো, আপনি বিষয়টি একটু দেখেন। সেদিন রাতে (নির্বাচনের দিন) সে অনেকভাবে আমাকে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিল। একপর্যায়ে জায়েদ বলে ফেলে, ‘বাচ্চার কসম লাগে, আপনি কত টাকা খাইছেন বলেন। এরপর আর আমার মাথা কাজ করেনি, আমি আস্তে আস্তে বের হয়ে চলে গেছি।"

এদিকে আপিল বোর্ডের এ সিদ্ধান্তকে কোনোভাবেই মানছেন না জায়েদ খান। তিনি বলেছেন, আপিল বোর্ড আইন বহির্ভূত। জায়েদ সংবাদমাধ্যমে বলেন, এখানে আপিল বোর্ডের কোনো মূল্য নেই। তারা এরকম কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। এটা আইন বহির্ভূত, পৃথিবীতে এমন নজিরবিহীন ঘটনা নেই। প্রজ্ঞাপনের পর আপিল বোর্ড কীভাবে এ রায় ঘোষণা করে? আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।"

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির ভোটের দিন দুপুর থেকেই চিত্রনায়িকা নিপুণ জায়েদ খানের বিরুদ্ধে অনিয়ম আর নোট দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ করেন। তবে এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন আমলে না নিয়ে জায়েদ খানকেই জয়ী ঘোষণা করেন। এরপর নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জায়েদের বিরুদ্ধে আরও বেশকিছু তথ্য উপাত্ত নিয়ে অভিযোগ করেন। এরপর নির্বাচনের অনিয়মের তথ্য-উপাত্ত পৌঁছে যায় আপিল বোর্ড হয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় বিষয়টি আপিল বোর্ডের মাধ্যমে সমাধানের নির্দেশ দেয়। 

হাঙ্গামা/সানজানা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url