শিল্পী সমিতিতে আবারো তালা মারলো কে?

শিল্পী সমিতিতে আবারো তালা মারলো কে?
শিল্পী সমিতিতে আবারো তালা মারলো কে?

শিল্পী সমিতিতে আবারো তালা মারলো কে?


এ নাটক যেনো শেষ হবার নয়। টিভি সিরিয়ালের মতো একের পর এক আকর্ষণীয় পর্ব নিয়ে নাটকীয় ভঙ্গিতে সামনে আসছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। ২০২২-২০২৪ মেয়াদের কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই ঘটছে একের পর এক ঘটনা। শুধুমাত্র সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে যে বিতর্ক, জটিলতা আর টানাটানি শুরু হয়েছে, এর আগে কখনো দেখা যায়নি।

প্রথমে ভোটগ্রহনের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে বিজয়ী হন জায়েদ খান। এরপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তুলে আপিল বিভাগের দ্বারস্ত হন। এর প্রেক্ষিতে আপিল বোর্ড পুণরায় ভোট গণনা করে এবং আবারও জয় পান জায়েদ। এতেও দমে যাননি নিপুণ। ফের জায়েদ ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। সাথে প্রমাণ হিসেবে কিছু স্কৃনশটও প্রকাশ্যে আনেন।

নিপুণের অভিযোগ ও স্কৃনশট প্রকাশের ফলে ওঠে বিতর্কের ঝড়। বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় নির্বাচনের আপিল বোর্ডকে। তারা তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল করেন এবং নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেন। আপিল বোর্ডের এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জায়েদ। আদালত তার প্রার্থীতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। সেই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে পুনরায় আদালতে আপিল করলে নিপুণ। এতে ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের আদেশকে স্থগিত করে চেম্বার আদালত।

এই একটি পদ নিয়ে যখন জটিলতা বেড়েই চলেছে, তখন দেখা গেলো শিল্পী সমিতির কার্যালয়ের দরজায় নতুন তারা ঝোলানো। অর্থাৎ আগের চাবি দিয়ে খুলছে না কার্যালয়ের তালা। এটা লক্ষ্য করেন মিশা-জায়েদ প্যানেলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত জয় চৌধুরী। তিনি হাঙ্গামা২৪-কে জানান, ‘এফডিসিতে শুটিং করছিলেন জয়। এর ফাঁকে টয়লেটে যাওয়ার জন্য শিল্পী সমিতির কার্যালয়ের সামনে যান। কিন্তু তার কাছে থাকা আগের চাবি দিয়ে কার্যালয়ের দরজায় লাগানো তালা খুলতে পারেন নি। কিছুক্ষন পরেই জানতে পারেন, শপথগ্রহণ শেষে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের পক্ষ থেকে তালা পরিবর্তন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভেতরের দুটি চেয়ারও নাকি বদলে ফেলা হয়েছে।”

তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় জয় চৌধুরী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, “চেয়ার পরিবর্তন করার বিশেষ কোনো কারণ থাকতে পারে। হয়তো এখানে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নিজস্ব কোনো মতের ব্যাপার রয়েছে। কিন্তু তালাচাবি পরিবর্তনের বিষয়টা বুঝতে পারছি না, এটার আলাদা কোনো বেনিফিট আছে কি না আমি জানি না। চার বছর ধরে সমিতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। এর আনাচে কানাচে কোথায় কী রয়েছে আমার সব জানা আছে। এখানে সোনাদানা লুকানো নেই যে চুরি হয়ে যাবে।”

এদিকে তালা পরিবর্তনের বিষয়ে নিজ প্যানেলের হয়ে জবাব দিয়েছেন নব-নির্বাচিত সহ-সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “শিল্পী সমিতির কার্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থেই নতুন তালা লাগানো হয়েছে। আর যেহেতু নতুন কমিটি, তাই নতুন চেয়ারও বসানো হয়েছে।”

উল্লেখ্য, নির্বাচনের আপিল বোর্ডের পূর্বনির্ধারিত বৈঠকের আগেই শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে তালা দিয়ে সবাই সরে গিয়েছিলো। তখন জায়েদ খান বলেছিলেন, অফিস সহকারিরা ছুটিতে আছেন তাই সমিতি বন্ধ। 

হাঙ্গামা/সানজানা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url