৯ মাস নায়ককে আটকে যৌন নির্যাতন করেছেন এই নারী

অভিনেতা অভি ও ফিরোজা নাজনীন বাঁধন
অভিনেতা অভি ও ফিরোজা নাজনীন বাঁধন

৯ মাস নায়ককে আটকে যৌন নির্যাতন করেছেন এই নারী


জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী পপির সঙ্গে ‘সাহসী যোদ্ধা’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন চিত্রনায়ক অনিক রহমান অভি। সিনেমাটি ব্যবসায়ীক দিক থেকে সুপার ফ্লপের তালিকায় থাকলেও এরপর এই নায় অভিনয় করেছেন ‘চটপটি ভালোবাসা’, ‘দুষ্টু ছেলে’, ‘ভালোবাসা ডটকম’সহ একাধিক সিনেমায়। এগুলোর একটিও ব্যবসায়িকভাবে সফলতার মুখ দেখেনি। এরপর আর কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি তাকে।

তবে এবার এক নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাকে আটকে রেখে যৌন নির্যাতনের। একটি মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে অনিক রহমান অভিকে টানা ৯ মাস আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। জানা গেছে, অভিযুক্ত নারী ফিরোজা নাজনীন বাধন ঐ পুনর্বাসন কেন্দ্রটির মালিক। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি বিষয়টি অবগত হলে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)-এর কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়।

পরে ০৪ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) গাজীপুর নগরীর ভাওয়াল মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে অভিসহ ২০ জনকে উদ্ধার করে র‍্যাব। সেসময় প্রতিষ্ঠানটির মালিক ফিরোজা নাজনীনসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। থখন সেখান থেকে জব্দ করা হয়েছে ৪২০ পিস ইয়াবা, নির্যাতনে ব্যবহৃত লাঠি, স্টিলের পাইপ, হাতকড়া, রশি, গামছা, খেলনা পিস্তল ও কথিত সাংবাদিকের পরিচয়পত্র।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারন সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, “আমি যখন জানতে পারি গাজীপুর ভাওয়াল মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে অভিকে আটকে রাখা হয়েছে, তখনই র‍্যাবকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানাই। তারা অভিকে উদ্ধার করায় আমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞ।”

জায়েদ খান এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টও করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, “চিত্রনায়ক অনিক রহমান অভি মাদকাসক্ত না হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘ ৯ মাস শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে শারীরিক যৌন নির্যাতন চালাতেন ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক এক নারী। বিষয়টি গোপন সূত্রের ভিত্তিতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‍্যাব অভিযান চালিয়ে সেখানে চিত্রনায়ক অভি’সহ আরও ২০ জনকে উদ্ধার করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষের লোকজন অভিযান পরিচালনার সময় মাদকাসক্ত ছিলেন!”

তবে র‍্যাব বলছে ভিন্ন কথা। তাদের মতে, অভি মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে তাকে ওই মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। অভিযানের পর কেন্দ্রটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলগালা করে দিয়েছে। এ তথ্য হাঙ্গামা২৪-কে নিশ্চেত করেছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।  

খন্দকার আল মঈন বলেন, “যেভাবে নিরাময় কেন্দ্র পরিচালনা, চিকিৎসা ও রোগীদের সেবা দেওয়ার কথা, তার কিছুই মানা হতো না গাজীপুরের ভাওয়াল মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে। সেখানে ভর্তি রোগীরা আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন, এই নিরাময় কেন্দ্রের মালিকের নেতৃত্বে প্রতিদিন তাদের মানসিক, শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করা হতো।”

এদিকে চিত্রনায়ক অভিকে উদ্ধারের পর মেডিক্যাল টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি তাকে কিসের জন্য আটকে রাখা হয়েছিল, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

হাঙ্গামা২৪/অভিরুপ
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url