Zayed-Misa : ‘আমি আর মিশা ভাই স্বামী-স্ত্রীর মতো ছিলাম’
আমি আর মিশা ভাই স্বামী-স্ত্রীর মতো ছিলাম |
‘আমি আর মিশা ভাই স্বামী-স্ত্রীর মতো ছিলাম’
অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়ে শেষ হলো বহুল আলোচিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। ২৮ জানুয়ারি সারাদিন বিএফডিসিতে চলেছে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ কার্যক্রম। এবারের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে মিশা সওদাগরকে হারিয়ে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। কিন্তু চিত্রনায়িকা নিপুণ হারাতে পারেননি দুইবার ক্ষমতায় থাকা জায়েদ খানকে। এবারো তিনি জয়ী হয়ে একই পদে হ্যাট্রিক করলেন।
এর আগের দুই মেয়াদে জায়েদ খানের সাথে জুটি বেধে সভাপতি পদে ছিলেন মিশা সওদাগর। কিন্তু এবার এই খল-অভিনেতা হেরে যাওয়ায় বেশ কষ্ট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই জায়েদ। এ প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, ‘‘আমি শিল্পীদের ভালোবাসায় জয়ী হয়েছি। কিন্তু এ জয় আমি উদযাপন করতে পারছি না। মিশা সওদাগর ভাই হেরে যাওয়ায় ওনার জন্য আমার প্রচুর মন খারাপ। আমরা বিগত ৪ বছর ধরে স্বামী-স্ত্রীর মতো ছিলাম।’’
এর আগে এক বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘‘এবারের নির্বাচনে আমার জয় পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে। শিল্পীরা যাদের ভালো মনে করছেন তাদেরকেই ভোট দিয়েছেন। আমি নির্বাচিত হয়েছি সবার দোয়ায় এবং শিল্পীদের ভালোবাসায়। যাদের ভোটে আমি নির্বাচিত, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’’
অপরদিকে সাবেক সভাপতি মিশা সওদাগর হেরে গেলেও অভিনন্দন জানিয়েছেন কিংবদন্তী অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনকে। তিনি জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির সকল কাজে নব নির্বাচিত সভাপতিকে সর্বোচ্চ সাহায্য করবেন। ইলিয়াস কাঞ্চনও শপথ নেয়ার আগেই মিশাকে তার পাশে চেয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে ১৪৮ ভোট পেয়ে হেরে গেছেন মিশা সওদাগর। ১৯১ ভোট পেয়ে সভাপতি হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তার পেয়েছেন ১৬৩ ভোট। ফলাফলে অসন্তোষ প্রকাশ করে নিপুণ ২৯ জানুয়ারি ফের ভোট গণনার জন্য আপিল করেন। কিন্তু ভোট পুর্ণগণনায়ও ফলাফল অপরিবর্তীত থাকে।
হাঙ্গামা/সানজানা