ভূতের সিঁড়ি: উঠতে ৪০ ধাপ কিন্তু নামলে ৩৯!

ভূতের সিঁড়ি
ভূতের সিঁড়ি

ভূতের সিঁড়ি: উঠতে ৪০ ধাপ কিন্তু নামলে ৩৯!


দৈনন্দিন জীবনে চলা-ফেরায় সিঁড়ি ব্যবহার কমবেশি আমরা সবাই করি। এই সিঁড়ি গুণে গুণে ওঠা নামার মাঝে আছে এক বাল্যকালীয় আনন্দ। কেউ প্রকাশ্যে স্বিকার না করলেও, প্রায় সবাই কোনো না কোনো সময় চলতি পথে সিঁড়ি গুণে ওঠা নামা করেছেন। কিন্তু সিঁড়ি গুণে ওঠার সময় যদি পেছন ফিরে দেখেন সিঁড়ির সংখ্যা একটা কমে গেছে। 

তখন কেমন মনে হবে হবে আপনার? হয়তো আপনি ভাববেন, আপনি ভুল গুণেছেন। ফের গুণতে থাকবেন, বারবার গুণবেন। কিন্তু এবারো মিলছে না, তখন? হয়তো আঁতকে উঠবেন ভয়ে। কারণ সিঁড়ি কীভাবে কমে গেল এই চিন্তাতেই মত্ত থাকতে হবে। হয়তো এমন কিছুর সম্মুখীন কেউ কখনও হননি। তবে এমন একটি স্থান আছে যেখানে গেলে এমন অবস্থার সম্মুখিন আপনাকে হতেই হবে।

ভূতের সিঁড়ি
ভূতের সিঁড়ি

টোকিয়োর নেজু প্রদেশে অবস্থিত ‘অবাকে কায়দান’। এই স্থনেই রয়েছে পৃথিবীর রহস্যজনক এই সিড়ি। যা বেয়ে উপরে ওঠার সময় ৪০টি ধাপ পেরোতে হয়। কিন্তু নিচে নামতে সময় বেমালুম কমে যায় একটি ধাপ। অবাকে কায়দান নামের এই বিস্ময়কর সিঁড়িটি মূলত পাথড়ের তৈরি। অজানা রহস্যে ঘেরা অদ্ভুত এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই স্থানীয়রা সিঁড়িটির নাম দিয়েছেন অবাকে কায়দান। জাপানি ভাষায় অবাকে মানে ভূত। আর কায়দান হল সিঁড়ি। অর্থাৎ অবাকে কায়দান মানে দাড়ায় ভূতের সিঁড়ি। 

এই ‘ভূতের সিঁড়ি’ বেয়ে ওঠা নামা আক্ষরিক অর্থেই ভুতুড়ে বিষয়। আবছা অন্ধকার গলিতে থাকা এক ফালি সিঁড়ি। তার উঁচু নিচু ধাপ, কানায় গজানো ঘাস, স্যাঁতসেতে আলো আঁধারি পরিবেশ মিলিয়ে বেশ গা ছম ছমে একটা আবহ। নামকরনের এটাও আরেকটা কারন। এখন আধুনিকতার আলোয় টোকিওর এই ‘কায়দান’ অনেকটা ঝকঝকে ও প্রশস্ত। মাঝে পথচারির সুবিধার জন্য রেলিংও বসানো হয়েছে। তবে পুরনো সিঁড়ির ফালিটি কোনও অজানা কারণে এখনও চাকচিক্যহীন, মলিন, স্যাঁতসেতে ও অবিন্যস্ত। এর সুনির্দিষ্ট কোনো কারন এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ভূতের সিঁড়ি
ভূতের সিঁড়ি

রহস্যজনক এই ভুতের সিঁড়ি নিয়ে লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে নানা গল্পও। অনেকেই বলেন, এই সিঁড়িটি তৈরি করা হয়েছে কবরখানার পাথর দিয়ে। আবার কারও মতে, এই সিঁড়িতে যেসব সমাধির পাথর ব্যবহার করা হয়েছে, সেই সমাধিগুলোও ভয়ানক। কারণ সে সব সমাধিতে যাদের সমাধিস্থ করা হয়েছে তাদের মৃত্যু হয়েছে গোপনে, আড়ালে, যা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লুকোতে চাওয়া হয়েছে। যদিও এসব লোককথার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

হাঙ্গামা২৪/অভিরুপ
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url