হোটেলে অভিনেত্রীকে গণধর্ষণ; আটক এক

হোটেলে  অভিনেত্রীকে গণধর্ষণ; আটক এক
হোটেলে  অভিনেত্রীকে গণধর্ষণ; আটক এক

হোটেলে অভিনেত্রীকে গণধর্ষণ; আটক এক


২৭ বছর বয়সী মডেল ও অভিনেত্রী রাইসা প্রভূ (ছদ্দ নাম)। তার বয়স যখন ২০ তখন প্রথম তিনি শখের বশেই ফ্যাসন মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর অভিনয়ের ভূত চেপে বসে তার মাথায়। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়া সত্ত্বেও, ঐ পেশা তাকে টানেনা। রাইসার তখন একটাই ইচ্ছা, একটাই স্বপ্ন অভিনেত্রী হওয়া।

স্বপ্নের টানে ঘুরতে থাকেন এ দরজা, ও দরজা। সেই সুবাদে দু একটি বিজ্ঞাপনে মডেলিং ও একটি শর্ট ফিল্মে অভিনয় করেছেন রাইসা। তবে পরিচিতি পাননি কোনোটাতেই। মিডিয়া হাউজগুলোতে ঘুরতে ঘুরতে পরিচয় হয় অনেকের সাথেই। তাদের মধ্যে তিনজন হলেন সলিন, শামির ও আজমল। তারা বিনোদন জগতের সাথেই সম্পৃক্ত।

গত ১ ডিসেম্বর সলিন তাকে ফোন করে জানায়, বড় একটি প্রোডাকশন কিছু ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করতে যাচ্ছে। তারাই কাজের ব্যাপারে মিটিং করতে ডেকেছে রাইসাকে। রাইসা এমন সংবাদ পাওয়ার পর আনন্দে আত্মহারা। এটাই বুঝি স্টার হওয়ার সুযোগ এমন ভাবনাকে মাথায় রেখে সলিন দেয়া ঠিকানা অনুযায়ী কেরালার কোচিতে এদাচিরায় অবস্থিত একটি হোটেলে যায় রাইসা।

হোটেলে পৌছে সলিনের সাথে তার পূর্ব পরিচিত আরো দুজনকে দেখতে পায় এই মডেল। তারা হলো শামির ও আজমল। তাদেরকে প্রায় ৩ বছর ধরে চেনে রাইসা। তখন তারা জানায়, যারা সিরিজটি বানাবে তাদের হোটেলে আসতে একটু সময় লাগবে। তাই অপেক্ষা করতে হবে। এরপরই সেখানে গনধ‌‘র্ষণের শিকার হন স্বপ্নের পেছনে হন্যে হয়ে ছোটা এই অভিনেত্রী। একটানা দুদিন তাকে হোটেলে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়।

৩ ডিসেম্বর হোটেল থেকে বের হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা রাইসা। সলিন, শামির ও আজমলকে আসামী করে একটি এফআইআরও দায়ের করেছেন তিনি। নির্যাতনের শিকার হওয়া মডেল রাইসা কেরালার মলপ্পুরমের বাসিন্দা।

২৭ বছর বয়সী এই মডেল অভিযোগ পত্রে বলেন, আমি হোটেলে পৌছানোর পর তারা আমাকে কোমল পানীয় খেতে দেয়। তারা সেই পানীয়তে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে ছিলো। যার ফলে আমি ঐ পানীয় পান করার পর কিছুই বুঝতে পারিনি। আমি একদম তাদের কন্ট্রোলে চলে যাই। তারা যা বলেছে তখন তাই করতে থাকি। যেনো একদম মস্তিস্ক বিহীন মানুষে পরিণত হয়েছিলাম। তাই তাদেরকে আমি বাধা দিতে পারিনি। 

নির্যাতিতা রাইসা তার অভিযোগ পত্রে লেখেন, অভিযুক্তরা ঐ হোটেলের একটি কক্ষে একটানা দুদিন তাকে বন্দি করে রাখে। এই দুদনিই ঐ তিনজন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে পালাক্রমে ধ‘র্ষণ করে। সেইসময় তারা অনেকগুলো ছবি ও ভিডিও ধারন করে এবং সামাজিক মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তাদের কথা না শুনলে অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলেও হুমকি দিতে থাকে।


মলপ্পুরম পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান আসামী সলিন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করে রাইসা এবং সালিনের জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। একই সঙ্গে হোটেলের মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে বাকি দুই আসামী শামির ও আজমল পলাতক রয়েছে। দ্রুতই তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।

হাঙ্গামা ২৪
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url