Billie Eilish : ১১ বছর থেকে পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত গায়িকা!

Billie Eilish - বিলি আইলিশ
Billie Eilish - বিলি আইলিশ

১১ বছর থেকে পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত গায়িকা!


বিলি আইলিশ পুরো বিশ্বে মার্কিন গায়িকা হিসেবে পরিচিত। লস এঞ্জেলসে জন্ম নেয়া জনপ্রিয় এই তারকা পেশাগত জায়গায় শুধু গায়িকাই নন, পাশাপাশি তিনি গিতিকারও। তিনি এতোটাই প্রতিভাবান যে ২০১৭ সালের অক্টোবরে অ্যাপল মিউজিক তাদের ‘‘আপনেক্সট’’ সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে ঘোষণা করে।

সঙ্গীতঙ্গ পরিবারে বেড়ে ওঠা আইলিশ নাকি কৈশোরেই আসক্ত হয়ে পড়েন পর্নোগ্রাফিতে। এ কথা তিনি নিজেই জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তার বয়স যখন মাত্র ১১ বছর, তখন তিনি আসক্ত হন পর্নোগ্রাফিতে। এতে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তার মস্তিষ্কের বিকৃতি করেছে পর্নোগ্রাফি।

দীর্ঘ ৯ বছর ধরে তিনি খুব অস্থিরতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন ২০ বছর বয়সী গায়িকা বিলি আইলিশ। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমবার সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার সময় আমি কোনো কিছুকেই না বলিনি। এমনকি যা আমার জন্য কষ্টকর ছিলো, তাও এড়িয়ে যাইনি। কারন তখন আমি ভাবতাম এগুলোই হয়তো ঠিক, এগুলোর প্রতি আমার আকর্ষণ থাকা উচিৎ। কোন কিছুর প্রতি আকর্ষণ না জাগলেও, আমি মিথ্যে অভিনয় করে যেতাম, যেনো এটাই আমার প্রিয়। এমন ভাব করতাম, যেনো এতে আমি খুব তৃপ্তি পাচ্ছি।’’

কিন্তু এখন তিনি মনে করেন, পর্নোসিনেমায় যা দেখানো হয় তা অত্যন্ত হিংস্র। এমনকি এটা নারীর জন্য অপমানজনক বলেও মনে করেন বিলি আইলিশ। নীল দুনিয়ার পর্দায় নারীর শরীর ও তার জৈবিকতাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয় তার কঠোর নিন্দ করেন এই গায়িকা। তিনি বলেন, ‘‘আমার ধারণা ছিলো- এটা খারাপ জিনিস নয়। সঙ্গম কিংবা সঠিক যৌন শিক্ষা একমাত্র পর্নো দেখেই শেখা যায় এমনটাই মনে করতাম। এটার খুব খারাপ প্রভাবও রয়েছে। যা এখন আমার মস্তিস্ককে কুড়ে কুড়ে খায়। আমি সেই সময় পর্নোগ্রাফিকে ফ্যাশনেবল বিষয় হিসেবেই ভাবতাম।’’


‘যৌন সঙ্গম পর্নো দেখেই শেখা যায়, এটা খারাপ জিনিস নয়— এমনটা আমার ধারণা ছিল। সেটার খারাপ প্রভাব থাকবে আমি কোনোদিন ভাবিনি। সেই সময় পর্নোগ্রাফি দেখাটা আমার কাছে খুব ফ্যাশনেবল একটা বিষয় ছিল।’

হাঙ্গামা২৪
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url