ভারতের ভোজপুরি সিনেমায় অভিনয় করতেন এ ২৮ বছর বয়সী অভিনেত্রী। মুম্বাইয়ের যোগেশ্বরী অঞ্চলে একটি বাড়ি ভাড়া করে সেখানে থাকতেন তিনি। সম্প্রতি নিজ বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ২৩ ডিসেম্বর এ অভিনেত্রীর ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশ। তবে তারা এ অভিনেত্রীর নাম পরিচয় প্রকাশ করেননি।

এই অভিনেত্রীকে হত্যা করা হয়েছে নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এই অভিনেত্রীর বান্ধবী দাবি করেছেন, মানসিক চাপের কারনে আত্মহনন করেছেন তিনি। 

মৃত অভিনেত্রীর বান্ধবী জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) অফিসার সেজে দুই ব্যক্তি এই নায়িকাকে হুমকি দিচ্ছিলেন। তাই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন তিনি। আর এ কারনেই আত্মহত্যা করে বসেন নায়িকা। তার এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে মুম্বাই পুলিশ। ইতোমধ্যে সুরজ প্রদেশি এবং প্রবীণ ওয়ালিম্বে নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।  

একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, এই আত্মহত্যার পেছনে আরও কিছু ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন। তাদের নামও ইতোমধ্যে পুলিশের হাতে এসেছে। তারাও যে কোনো সময়  গ্রেফতার হতে পারে। 

গত নভেম্বরের শুরুর দিকে একটি মাদক পার্টিতে গিয়েছিলেন মৃত ঐ ভোজপুরী অভিনেত্রী। সেখানে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিও ছিলেন। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতারের হুমকি দিতে শুরু করেন অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি। গ্রেফতারের হুমকিতেই থামেননি তারা। নিজেদেরকে এনসিবির অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রথমে ৪০ লাখ টাকা দাবি করে। পরে গ্রেফতার ঠেকাতে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন তারা।

তদন্তের দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কর্মকতা জানান, অভিনেত্রীকে ব্ল্যাকমেইলের কাজে ঐ দুই ব্যক্তির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অভিনেত্রীর এক বন্ধু। তাদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০৬, ১৭০, ৪২০, ৩৮৪, ৩৮৮, ৩৮৯, ৫০৬ এবং ১২০বি ধারায় আটটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।