Tahsan-Mithila : তাহসান-মিথিলার বিরুদ্ধে মামলা
তাহসান-মিথিলার বিরুদ্ধে মামলা |
তাহসান-মিথিলার বিরুদ্ধে মামলা
দেশের জনপ্রিয় গায়ক-অভিনেতা তাহসান খান ও জনপ্রিয় গায়িকা-অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। তাদের সংসার ভেঙ্গে গেছে অনেক আগেই। দুজনই দুজনার জায়গা থেকে এগিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের মতো করে। দুজনার নাম একসঙ্গে জড়িয়ে অনেকদিন সংবাদে আসেননি এই তারকা যুগল। তবে এবার দুজনেই একসঙ্গে জড়ালেন আইনি ঝামেলায়।
প্রতারণা ও অর্থআত্মসাতের অভিযোগে তাহসান ও মিথিলার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা করেন ইভ্যালির এক গ্রাহক সাদ স্যাম রহমান। এ মামলায় শুধু তাহসান-মিথিলাই নন, তাদের সঙ্গে আসামীর তালিকায় রয়েছেন আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া।
অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া |
এ মামলার মোট ৯ জন আসামীর বাকিরা হচ্ছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েসকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটির তদন্তের নথি এসেছে। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া।
তাহসান খান ছিলেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির শুভেচ্ছাদূত। আর মিথিলা নিয়োজিত ছিলেন ইভ্যালির ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইলের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিলো অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াকে। তাদের বিরুদ্ধে ইভ্যালির প্রতারণায় সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলাটিতে। মামলার এজাহার অনুযায়ী, তাহসান-মিথিলা ও ফারিয়ার উপস্থিতি এবং তাদের বিভিন্ন প্রমোশনাল কথাবার্তার কারণে আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেন সাদ স্যাম রহমান। তাদের কারণে মামলার বাদী প্রতারিত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
মামলাকারী সাদ স্যাম রহমান তার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন, প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও এতে সহায়তা করেছেন তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া। আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ তিন লাখ ১৮ হাজার। যা তিনি এখনও উদ্ধার করতে পারেননি।
ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী বলেন, এ মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
হাঙ্গামা ২৪