Pori Moni : পরীমনিকে যৌন হয়রানি; আদালতে অভিযোগপত্র

পরীমনিকে যৌন হয়রানি
পরীমনিকে যৌন হয়রানি

পরীমনিকে যৌন হয়রানি; আদালতে অভিযোগপত্র 


এ বছরের প্রায় অর্ধেকটা সময় জুড়ে সবচেয়ে বেশি চর্চিত হয়েছে যার নামটি, তিনি হচ্ছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি। নির্যাতনের শিকার হয়ে ফেসবুক লাইভ থেকে শুরু করে কারাবাস, এমনকি তার জন্মদিনের পোশাক নিয়েও হয়েছেন সমালোচিতো। 

এই বিতর্কের শুরুটা হয়েছিলো গত ৮ ই জুন রাতরে ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সে ঘটনায় মামলা করেছিলেন পরীমনি। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরীমনি তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি (৩০), অমি (৪০) ও বনিসহ (২০) দুটি গাড়িতে করে উত্তরার উদ্দেশে রওনা হন তারা। 

কিছুদূর যেতেই অমি বলে ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে। অমির কথামতো তারা সবাই আনুমানিক রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে বোট ক্লাবের সামনে গাড়ি দাঁড় করায়। কিন্তু ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এরপর সিকিউরিটি গার্ডরা ক্লাবের গেট খুলে দেয়। প্রথমে অমি ক্লাবের ভেতরে গিয়ে বলে এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর, তোমরা নামলে নামতে পার।

এজাহারে পরীমনি বলেন, আমার ছোট বোন বনি তখন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করে এবং বারের কাছের টয়লেটটি ব্যবহার করতে ভেতরে যায়। বনি টয়লেট থেকে বের হতেই মামলার এক নম্বর আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন।

আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ এক নম্বর আসামি মদপানের জন্য জোর করেন। আমি মদপান করতে না চাইলে নাসির উদ্দিন মাহমুদ জোর করে আমার মুখে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে আমি সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই।

এ ঘটনার মানসিক ট্রমায় অবসাদগ্রস্থ হয়ে পরেন পরীমনি। ৪ দিন পর তিনি ফেসবুক লাইভে এসে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাকে ধর্ষণচেষ্টা ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন এ নায়িকা। যা মামলার কপিতেও উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গত ১৪ জুন সাভার থানায় মামলা করেছিলেন পরীমনি। ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। অন্যতম আসামী শহিদুল আলম পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন।

চিত্রনায়িকা পরীমনির করা বহুল আলোচিতো এ মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছিল।আসামিরা হলেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও পলাতক শহিদুল আলম। অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানি হয়েছে গত ১ ডিসেম্বর। সেদিন নাসির ও অমির জামিন মঞ্জুর করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এদিন পরীমনি আদালতে উপস্থিত হয়ে অভিযোগপত্রের ওপর নারাজি দেন।

হাঙ্গামা ২৪
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url