অজান্তেই নীল ছবির শ্যুটিং করেন নায়িকারা, ঘটনা ভুলতে দেয়া হয় মাদক
Pari Paswan - পরী পাসোয়ান |
অজান্তেই নীল ছবির শ্যুটিং করেন নায়িকারা, ঘটনা ভুলতে দেয়া হয় মাদক
বছরখানেক ধরে প্রাপ্তবয়স্ক ছবির প্রসঙ্গ বারবার আলোচনায় আসছে। ভারতের জনপ্রিয় নায়িকা শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রা গ্রেফতারের পর থেকেই নড়ে চড়ে বসেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রসাশন। এরপর থেকেই বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির নায়ক নায়িকাদের সাথে নীল ছবির সংশ্লিষ্টতা বেরিয়ে আসতে শুরু করে।
Pari Paswan - পরী পাসোয়ান |
এ প্রসঙ্গে অনুসন্ধান করে জানা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উঠতি মডেল ও অভিনেত্রীরা না জেনেই এসব ছবিতে অভিনয় করে ফেলেন। তারা বুঝতেও পারেন না কখন ক্যামেরার সামনে নিজেদের পোশাক খুলে ফেলছেন। স্টার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে যারা মিডিয়া হাউজগুলোতে ঘুরে বেড়ান, তাদের মধ্যে অনেক প্রতিভাবানই এমন অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি পরী পাসোয়ান নামের ‘বিউটি কুইন’খ্যাত এক মডেল এমন অভিযোগ সামনে আনেন।
মুম্বাইকে সকলে বলিউডের আঁতুড়ঘর হিসেবেই জানেন। এই শহরে অগনিত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। তাদের মধ্যে কে কখন কোন সিনেমা বানাচ্ছেন, তার খবর রাখা মোটেও সম্ভব নয়। তাই না জেনেই ভুল করে ফেলেন অনেকেই। তেমনি একজন সাবেক ‘বিউটি কুইন’খ্যাত মডেল পরী পাসোয়ান।
পরী পাসোয়ান সম্প্রতি এক অভিযোগে জানিয়েছেন, যেহেতু মুম্বাইয়ের সিনেমার সকল হিসেব কেউ জানেনা। এই ‘না-জানা’রই সুযোগ নেয় অসাধু চক্র। যাঁরা এই শহরে বসেই প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমার ব্যবসা করেন।
কয়েক মাস আগেই বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রার গ্রেফতার হওয়ায় তার পর্ণকান্ড সবার সামনে আসে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো, রাজ সবার আড়ালে নীল ছবির কারবার করছিলেন। পরী পাসোয়ানের পরিবার জানিয়েছেন, রাজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানই পরীর অজান্তে তাকে প্রপ্তবয়স্ক সিনেমায় অভিনয় করান।
এর আগে ২০১৯ সালে মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন পরী পাসোয়ান। তিনি অভিযোগ করেছেন, যখন তাঁকে দিয়ে পর্ন ছবিতে অভিনয় করানো হয়, তখন তিনি বুঝতেই পারেননি যে এটা শ্যুটিং চলছে।
পরী অবস্য নিজের মুখে রাজ কুন্দ্রার কথা বলেননি। তবে তিনি বলেছেন, মুম্বইয়ের একটি প্রযোজনা সংস্থা তাকে সিনেমায় অভিনয়ের কথা বলে ডেকে নেয়। আর সেখানেই এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হন তিনি।
এই বিউটি কুইন জানিয়েছেন এক ভয়ঙ্কর তথ্য। তিনি জানান, অই সংস্থায় সাক্ষাৎকার দেয়ার আগে তাঁকে কোমল পানীয় পান করানো হয়। তারপরের বেশ কয়েক ঘণ্টা কি হয়েছিলো তার সাথে, সে কথা আর মনে নেই তাঁর।
তবে সেই কয়েক ঘন্টা ঠিক কী ঘটেছিলো পরীর সঙ্গে, তা মনে করতে না পারলেও তাঁর সঙ্গে যে মারাত্মক খারাপ কিছু হয়েছে তা বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। বিষয়টি বুঝতে পেরে পরের দিনই স্থানীয় থানায় পুরো ঘটনাটি লিখিত আকারে জানান। এরপর পুলিশের পরামর্শে ওই প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন পরী পাসোয়ান।
তিনি বুঝতে ঠিকই পেরেছিলেন, তবে তত ক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। এরমধ্যেই নেটদুনিয়ায় পরীর আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
এ ঘটনার অল্প কয়েকদিন আগেই বিয়ে করেছিলেন পরী। আপত্তিকর ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় এ প্রসঙ্গকে কেন্দ্র করে পরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন তাঁর স্বামী নীরজ পাসোয়ান এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
পরী অবশ্য তাদেরকে অনেক করে বুঝিয়েছেন, এই ভিডিওটি যখন ধারণ করা হয়, তখন তিনি বেহুশ ছিলেন। তিনি পরে ধারণা করেছিলেন, শুরুতে যে কোমল পানিয় তাকে খাওয়ানো হয় সেটায় মাদক মেশানো ছিলো। যা খেয়ে তিনি কয়েক ঘন্টার জন্য একটি মস্তিষ্কহীন শরীরে পরিণত হয়েছিলেন।
তাই তাঁকে এ বিষয়ে যেনো দোষ না দেওয়া হয় বলে অনুরোধ করেছিলেন স্বামী ও তার শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের। কারণ তিনি একটি প্রতারক চক্রের পরিকল্পিত শিকার। কিন্তু তার এ কথা আমলে নেয়নি তারা। তাই খুব অল্প দিনেই ভেঙ্গে যায় পরী পাসোয়ানের সংসার।
হাঙ্গামা ২৪