Nasrin : মুখ খুললেন অশ্লীল যুগের অভিনেত্রী নাসরিন

অশ্লীল যুগের অভিনেত্রী নাসরিন
অশ্লীল যুগের অভিনেত্রী নাসরিন


মুখ খুললেন অশ্লীল যুগের অভিনেত্রী নাসরিন


শুটিং দেখার খুব ইচ্ছে ছিলো নাসরিন আক্তার নার্গিসের। একদিন সুযোগ পেয়ে বান্ধবীর সাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন এফডিসিতে। শুটিং দেখতে এসেই ভীরের ভেতরে থেকেও নজর কাড়েন পরিচালকের। সেই থেকে বড় পর্দায় পথচলা শুরু করেন অভিনেত্রী নাসরিন। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যাচ্ছেন এ অভিনেত্রী।

এই দীর্ঘ অভিনয় জীবনে আলোচনা-সমালোচনা এবং প্রশংসা সবই পেয়েছেন তিনি। তবে শেষমেষ স্থান হয় অশ্লীল নায়িকাদের কাতারে। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে পুরোপুরি বানিজ্যিক কারণে ব্যবহৃত হয়েছিলেন নাসরিন। চলচ্চিত্রের সোনালি দিনের সাক্ষি এই অভিনেত্রী নিজেও বহু সুপারহিট ও কালজয়ী সিনেমার অংশ। নব্বই দশকে নায়ক-নায়িকারা যতটা জনপ্রিয় ছিলেন তার চেয়ে কোনো অংশে কম জনপ্রিয় ছিলেন না অঘোষিত এই নায়িকা।

নাসরিন মূলত ১৯৯২ সালে ‘অগ্নিশপথ’ ছবিতে পার্শ্ব নায়িকা চরিত্রের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় আসেন। এরপর কৌতুক অভিনেতা টেলিসামাদের সঙ্গে জুটি হয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। সেই থেকে কৌতুক অভিনেতাদের সাথে জুটি বেধে অভিনয় করেছেন দীর্ঘদিন। প্রধাণত অশ্লীল যুগের আগে দিলদারের নায়িকা হিসেবই জনপ্রিয় ছিলেন নাসরিন। দর্শকও এই পরিচয়ে গ্রহণ করেছিল তাকে।

তবে অশ্লীল নায়িকার পরিচয় নিতে একদমই নারাজ তিনি। কারণ সব সময় সব কিছু অভিনয় শিল্পীদের হাতে থাকে না। এমনটাই বিশ্বাস করেন এই নায়িকা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সে বিষয়ে মুখ খুলেছেন নাসরিন। সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ তুলে ধরা হলো হাঙ্গামা২৪ এর পাঠকদের উদ্যেশে।

নাসরিন সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রথমে ডিপজলের সাথে গানে অভিনয় করতে চাননি তিনি। ‘কুত কইরা দিমু’ শিরোনামের গানটি ভালো লাগেনি নাসরিনের। পরে ডিপজলের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে তিনি গানটিতে কাজ করেন।

তিনি বলেন, আমার শুরুটা হয়েছিল দিলদার ভাইয়ের সাথে। তাই কেউ আমাকে নায়িকা হিসাবে নিতে চাইতো না। অনেক নায়কই বলেছে ও তো দিলদারের নায়িকা ওর সাথে অভিনয় করবো না। অভিনয় জীবনে আমাকে কেউ খারাপ করতে পারেনি। দীর্ঘ ২৮ বছরে আমি কারও সাথে আপোষ করিনি। ইন্ডাস্ট্রিতে জোর করে কিছু হয় না।

আইটেম গানগুলো আমি করতে চাইতাম না। আইটেম গান করতাম শুধু একটাই কারণে, আমি বসুন্ধরায় ফ্লাট কিনেছিলাম। সেই টাকা আমি কিস্তিতে পরিশোধ করতাম। একটানা ২০ বছর আইটেম গানে কাজ করে কখনও ১৫-২০ হাজারের বেশি সম্মানী পাইনি। অশ্লীলতার সময় প্রযোজকরা কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। বাধ্য হয়ে আমরা কাজ করেছি।

আমি মুনমুনকে প্রচুর হেইট করতাম। এরা এসে পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছে। কিন্তু দেখলাম যে না ওকে (মুনমুনকে) আসলে প্রযোজকরা হাফপ্যান্ট পরতে বলত। মুনমুন কান্না করতো ডিপজল ভাইয়ের বাসায়। বলত, সিনেমায় কাজ করতে এসেছি কী আপনাদের এই নোংরা কাপড় পরার জন্য? তখন ওরা (প্রযোজকরা) বলত এটা পরলে পরো না পরলে চলে যাও। তখন মুনমুনের ওপর আমার শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে যায়। এরপর থেকে আমি মুনমুনের সাথে কথা বলা শুরু করি। চলচ্চিত্র বাহির থেকে যতটা চকচকে, ভেতরটা আসলে ফাঁকা।

আমার ধ্যান-জ্ঞান সব কিছু চলচ্চিত্র। আমাকে কোটি টাকা দিলেও আমি এটা ছাড়তে পারব না। সবার আগে প্রাধান্য দিয়েছি আমি শিল্পী, আমার কাজ আগে।

হাঙ্গামা২৪
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url