Moushumi : মুরাদের হাত থেকে রেহাই পাননি মৌসুমীও!
মুরাদের হাত থেকে রেহাই পাননি মৌসুমীও |
মুরাদের হাত থেকে রেহাই পাননি মৌসুমীও
দুদিন ধরে পুরো গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম গরম হয়ে আছে দু বছর আগের একটি ফোন আলাপকে কেন্দ্র করে। সেই ফোন আলাপটি তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সঙ্গে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমনের। ফাঁস হওয়া ঐ অডিওতে শোনা যায়, প্রতিমন্ত্রী মুরাদ কল করেছেন চিত্রনায়ক ইমনকে। আর সেই ফোনেই কথা হয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে। তখন মাহিকে ধর্ষণ ও আইনশৃংখলা বাহিনীকে অপব্যবহার করে অপহরণ করার হুমকি দিতে শোনা যায় মুরাদকে। আর চিত্রনায়ক ইমনকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় কথা বলতে শোনা যায়। ফোন কলে প্রচুর অশ্রাব্য শব্দ ব্যবহার করেন মুরাদ।
এদিকে শুধু মাহিয়া মাহিই নয় তার হাত থেকে রক্ষা পাননি জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়িকা মৌসুমীও। একবার নয়, দুই দুইবার মুরাদ হাসানের কটূক্তির শিকার হয়েছিলেন এই নায়িকা। বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্রপ্রেমীরা ক্ষুব্ধ হলেও এটি সেভাবে প্রকাশ্যে আসেনি।
এ বছরের অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্বপ্নের রাজকুমার’ নামের একটি সিনেমার মহরত অনুষ্ঠান। ওস অনুষ্ঠানে ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ অসাধারণ একটি ছবি। সুপার-ডুপার হিট হয়েছিলো। নায়িকা মৌসুমী এখনও অভিনয় করছেন। তার সবই ভালো, শুধু ওয়েটটা কমাতে হবে। ফিল্মে যারা অভিনয় করবেন, তাদের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, ওজনটার দিকে খেয়াল রাখবেন।’ সেই একই বিষয় নিয়ে সম্প্রতি আরও ব্যঙ্গাত্মকভাবে মন্তব্য করেন মুরাদ।
‘ময়ূরাক্ষী’ সিনেমার মহরত অনুষ্ঠিত হয় গত ৩০ নভেম্বর।সেই মহরতেও উপস্থিত ছিলেন মুরাদ হাসান। সেখানে তিনি বলেন, “এর আগে মৌসুমীকে নিয়ে কথা বলেছিলাম। তখন অনেকেই মাইন্ড করেছেন। আমি মৌসুমীকে টার্গেট করে বলেছি, তা তো নয়। আমি সবাইকে বলেছি। একজন নায়িকার ওয়েট কন্ট্রোল করতে হবে। নায়িকার ভূমিকায় কেউ যদি এমন ‘মোটাসোটা’ হয়, এতে বাংলাদেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়।”
কয়েকদিন আগে ৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার কথা বলে আলোচনায় আসেন মুরাদ। এরকদিন পরই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তার পরিবার নিয়ে অশালিন মন্তব্য করে বসেন এই মন্ত্রী। তার ঐ মন্তব্যে বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে। এমনকি আওয়ামি লীগ নেতারাও তার মন্তব্যকে পজিটিভ ভাবে নেননি।
হাঙ্গামা২৪